রিকশাই ভরসা সড়কে
বিশ্বজুড়ে মহামারি আকার ধারণ করেছে করোনাভাইরাস। বাংলাদেশে মঙ্গলবারও দুজন নতুন করে করোনায় আক্রান্তের খবর মিলেছে। তবে ছুটি বর্ধিতের ঘোষণা দিলেও গণপরিবহন সীমিত আকারে চলাচল করবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) গণভবন থেকে জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে মতবিনিময়ের সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছুটি বর্ধিতের ঘোষণার পাশাপাশি সীমিত আকারে গণপরিবহন চলাচলের কথা জানান।
মঙ্গলবার রাজধানীর শ্যামলী, মিরপুর, কল্যাণপুর, ষাটফিট পীরেরবাগ, আগারগাঁওয়ের মতো বেশকিছু ব্যস্ততম সড়কে দেখা গেছে, গণপরিবহন চলছে না। সড়কে পরিবহন চলাচলের সংখ্যা হাতেগোনা পর্যায়ে। যেসব চলছে তার মধ্যে ব্যক্তিগত প্রাইভেট কার, মোটরসাইকেল, পণ্যবাহী পিকআপ, ট্রাকের সংখ্যাই বেশি। তবে সড়কে রিকশা চলছে হরহামেশা।
ষাটফিটে দেখা যায়, লেগুনা ও পিকআপ ভ্যান সারি সারি দাঁড়িয়ে। ২-১টা পিকআপ পণ্য পরিবহন কাজে চললেও বন্ধ মিরপুর-২ থেকে ফার্মগেটগামী লেগুনা। গণপরিবহনের দেখা নেই।
জরুরি কাজে ঘর থেকে বেরিয়ে সড়কে আসা অধিকাংশ মানুষই চলছেন রিকশায়।
আমিনুল ইসলাম নামে এক পথচারী জানান, দারুসসালাম এলাকা থেকে কখনো আগারগাঁও যেতে রিকশায় বা হেঁটে যেতে হয়নি, বাসেই যাতায়াত করি। কিন্তু শিশু হাসপাতালে চাকরির সুবাদে ছুটির মধ্যেও হাসপাতালে ডিউটি করতে হচ্ছে। বিকেলের শিফটের ডিউটি ধরতে আগেভাগেই বেরিয়ে পড়েছি। রিকশাও মিলছে না। তাই হেঁটেই চলছি গন্তব্যে।
পশ্চিম শ্যামলী এলাকার রিকশাচালক সিরাজ মিয়া বলেন, ‘বাস চলতাছে না। কিন্তু রিকশা চলতে দিতাছে। ভাড়ার অভাব নেই। করোনার ঝুঁকি পাত্তা দিলে পেটে ভাত যাইবো না। বরং ফাঁকা রাজধানীতে বেশি বেশি রিকশার প্যাডল ঘুরাইয়ে বেশি ভাড়া মারতাছি।’
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় সতর্কতামূলক ব্যবস্থার অংশ হিসেবে গত ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করে সরকার। সে ছুটি বর্ধিত করে করা হয়েছে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত।
এ ব্যাপারে ভিডিও কনফারেন্সে মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী বলেন, ছুটি বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে সীমিত আকারে যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু রাখতে হবে। যোগাযোগ ব্যবস্থা চালুর জন্য আমরা চিন্তা-ভাবনা করে বলব, কোন কোন ক্ষেত্রে আমরা সেটা ছাড় দেব, চালু রাখা দরকার।’
তিনি আরও বলেন, পরিবহন শ্রমিক শ্রেণি যারা আছেন তারাও যাতে কষ্ট না পায় তাদের তালিকা আমি ইতোমধ্যে করতে বলেছি। তাদের যেভাবে সাহায্য দরকার, আমরা সেই সাহায্য পৌঁছানোর ব্যবস্থা করব।’
জেইউ/এএইচ/এমএস