‘সচেতন যুব সমাজের’ উদ্যোগে খিলগাঁওয়ে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা
রাজধানীর খিলগাঁওয়ে পথচারীদের সাবান-পানি দিয়ে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করেছেন এলাকার ‘সচেতন যুব সমাজ’।
বৃহস্পতিবার সকালে খিলগাঁও লোহার গেটের কাছে গিয়ে দেখা যায়, বনশ্রী ও রামপুরা দিয়ে খিলগাঁওয়ের ভেতরে ঢোকার রাস্তায় একটি ব্যারেলে পানি, তার পাশেই সাবান রাখা হয়েছে।
করোনাভাইরাস আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ার শুরু থেকেই স্থানটিতে আতিকুর রহমান চৌধুরীসহ এলাকার যুবকরা সাবান-পানি দিয়ে এই হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করেছেন বলে জানান একাধিক দোকানি।
দোকানিরা বলেন, রাস্তাটি দিয়ে প্রতিদিন শত শত মানুষ যাতায়ত করেন। যার ইচ্ছা হয় তিনি সাবান-পানি দিয়ে স্থানটি থেকে হাত ধুয়ে নিতে পারছেন। সাধারণ মানুষের হাত ধোয়ার এই ব্যবস্থা কারার প্রসংশা করছেন অনেকে।
আশপাশের ১০টি দোকানের কর্মীর সঙ্গে জাগো নিউজের এই প্রতিবেদকের কথা হয়। তবে আতিকুর রহমানের চৌধুরীর সঙ্গে কথা বলার সুযোগ হয়নি। যে বাসার সামনে সাবান-পানি দিয়ে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে, সেখানে কয়েক মিনিট অবস্থান করে কাউকে পাওয়া যায়নি।
রাস্তাটিতে ভ্যানে ফল বিক্রি করা আলী নামের একজন বলেন, অনেক দিন ধরেই এখানে সাবান-পানি রেখে সাধারণ মানুষের হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আমিও মাঝে মধ্যে এখান থেকে হাত ধুই।
একটি ওয়ার্কশপের কর্মী রাজু বলেন, এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন শত শত মানুষ যাতায়াত করে। এখন থেকে কিছু দূর গেলেই বৌ-বাজার। ওই বাজারে বাজার করতে প্রতিদিন অনেক মানুষ আসে। রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় কেউ কেউ এখান থেকে সাবান-পানি দিয়ে হাত ধৌত করে। তবে এ সংখ্যা খুব বেশি না।
তিনি বলেন, করোনাভাইরাস নিয়ে সবার মধ্যে আতঙ্ক আছে। কিন্তু মানুষের সচেতনতা কম। করোনা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য বারবার সাবান দিয়ে ধাত ধোয়ার কথা বলা হচ্ছে। কতজন এ কাজ করছে বলেন। এই যে এখানে ফ্রি হাত ধোয়ার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। তারপরও এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করা এক শতাংশ মানুষও এখানে হাত ধৌত করে না।
বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাস গত বছরের ডিসেম্বরে প্রথম চীনে দেখা দেয়। ইতোমধ্যে বিশ্বজুড়ে ৯ লাখ ৬৬ হাজার মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। প্রাণ গেছে প্রায় ৪৯ হাজার ২৯৫ জনের।
বাংলাদেশে প্রথম করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী পাওয়া যায় গত ৮ মার্চ। এরপর থেকে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বাংলাদেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৬ জন। প্রাণ গেছে ৬ জনের।
করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে গত ২৬ মার্চ থেকে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। প্রথমে এই ছুটি ৪ এপ্রিল পর্যন্ত করা হলেও পরবর্তীতে তা বাড়িয়ে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত করা হয়েছে। করোনা ভাইরাসের হাত থেকে রক্ষা পেতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং ঘন ঘন সাবান-পানি অথবা হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ধোয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
এমএএস/জেডএ/এমকেএইচ