১৮ এপ্রিল বসছে সংসদ অধিবেশন

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩:৫৬ পিএম, ০৬ এপ্রিল ২০২০

করোনাভাইরাস আতঙ্কের মধ্যেই বসছে সংসদের সপ্তম অধিবেশন। ১৮ এপ্রিল (শনিবার) বিকাল ৫টা থেকে শুরু হবে সংসদ অধিবেশন।

সোমবার (৬ এপ্রিল) রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এই অধিবেশনের আহ্বান করেছেন। সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা থাকায় অধিবেশনটি ডাকা হয়েছে।

সংসদের গণসংযোগ অধিশাখার উপপরিচালক নুরুল ‍হুদা সোমবার সাংবাদিকদের এ সব তথ্য জানিয়েছেন।

জানা যায়, এক অধিবেশন শেষ হওয়ার পরবর্তী ৬০ কার্যদিবসের মধ্যে আবার বসার নিয়ম রয়েছে। সর্বশেষ ষষ্ঠ অধিবেশন শেষ হয়েছিল গত ১৮ ফেব্রুয়ারি। সেই হিসেবে ১৮ এপ্রিলের মধ্যে সংসদের অধিবেশন শুরুর বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

সংসদের একাধিক কর্মকর্তা জানান, এই অধিবেশন অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত হবে। এক অথবা দুই কার্যদিবস চলতে পারে। আর করোনাভাইরাস সংক্রান্ত সব স্বাস্থ্যবিধি মেনেই সংসদ সদস্যরা বসবেন। এখন ঢাকায় আছেন এমন এমপিদেরকেই শুধু সংসদে যাওয়ার উৎসাহ দেয়া হবে। সংসদে প্রবেশের সময় এমপিদের তাপমাত্রা মাপা হবে।

এর আগে করোনার কারণে এই অধিবেশন নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। তবে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সংসদের বৈঠক করার পরিকল্পনা ছিল।

এদিকে, করোনাভাইরাসের কারণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে ডাকা সংসদের বিশেষ অধিবেশন বাতিল করা হয়। গত ২২ মার্চ জাতীয় সংসদে বিশেষ অধিবেশন বসার কথা ছিল। এই অধিবেশনে ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি এবং নেপালের প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী ভান্ডারি সংসদের বিশেষ অধিবেশনে ভাষণ দেয়ার কথা ছিল। দুই কার্যদিবস চলার কথা ছিল এই বিশেষ অধিবেশন। এর আগে ১৯৭৪ সালের ৩১ জানুয়ারি ও ১৮ জুন সংসদে বিশেষ অধিবেশন বসেছিল। যেখানে সাবেক যুগোস্লোভিয়ার প্রেসিডেন্ট মার্শাল টিটো এবং ভারতের রাষ্ট্রপতি ভিভি গিরি ভাষণ দিয়েছিলেন।

সংবিধানের ৭২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, সংসদের এক অধিবেশনের সমাপ্তি ও পরবর্তী অধিবেশনের প্রথম বৈঠকের মধ্যে ৬০ দিনের অতিরিক্ত বিরতি থাকবে না। রাষ্ট্রপতি এ দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর লিখিত পরামর্শ অনুযায়ী কাজ করবেন। কার্যপ্রণালী বিধি দ্বারা বা অন্যভাবে সংসদ যেভাবে নির্ধারণ করবে, সংসদের বৈঠক সেভাবে সময়ে ও স্থানে অনুষ্ঠিত হবে।

এইচএস/এফআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।