দেশে স্বেচ্ছায় সেবা দিচ্ছেন ২২৩৮ চিকিৎসক
করোনাভাইরাস সংক্রান্ত স্বাস্থ্যসেবায় দেশের ২ হাজার ২৩৮ জন চিকিৎসক স্বেচ্ছায় নিয়োজিত রয়েছেন। তারা স্বাস্থ্য বাতায়ন, স্বাস্থ্য অধিদফতর ও সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) হটলাইনে ২৪ ঘণ্টায় স্বাস্থ্য পরামর্শ দিচ্ছেন।
মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত হেলথ বুলেটিন উপস্থাপনকালে অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ এ তথ্য জানান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় স্বাস্থ্য বাতায়নের ১৬২৬৩ নম্বরে স্বাস্থ্য পরামর্শ দেয়া হয়েছে ৫৯ হাজার ৫৯৫ জনকে। এখন পর্যন্ত এই নম্বরে মোট ১৩ লাখ ৫৪ হাজার ২৯৮ জনকে স্বাস্থ্য পরামর্শ দেয়া হয়েছে। ৩৩৩ নম্বরে ২৪ ঘণ্টায় স্বাস্থ্য পরামর্শ দেয়া হয়েছে ৫২ হাজার ৩৫১ জনকে এবং এই নম্বর থেকে মোট এক লাখ ৪৫ হাজার ৫৩৮ জনকে স্বাস্থ্য পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, আইইডিসিআরের হটলাইনে গত ২৪ ঘণ্টায় স্বাস্থ্য পরামর্শ দেয়া হয়েছে ৩ হাজার ৯৫৮ জনকে। মোট পরামর্শ দেয়া এক লাখ এক হাজার ১৪৮ জনকে। মোট চারটি প্রতিষ্ঠান হটলাইনে ২৪ ঘণ্টায় এক লাখ ১৫ হাজার ৯০৪ জন স্বাস্থ্য পরামর্শ নিয়েছেন। সবমিলিয়ে মোট স্বাস্থ্য পরামর্শ নিয়েছেন ১৬ লাখ ১ হাজার ৬৭৭ জন।
চারটি হটলাইন, স্বাস্থ্য বাতায়ন ১৬২৬৩, ৩৩৩ ও আইইডিসিআরের দুটি হটলাইন ১০৬৫৫ ও ০১৯৪৪-৩৩৩২২২ এসব হটলাইন প্লাটফর্ম থেকে আমাদের চিকিৎসকরা স্বাস্থ্য পরামর্শ দিচ্ছেন। এখানে নিয়মিত চিকিৎসকের বাইরে ও রয়েছে স্বেচ্ছা চিকিৎসক।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের ডিজি বলেন, এখন পর্যন্ত ১৩ হাজার ৩১৬ জন চিকিৎসক অনলাইনে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হয়ে সনদ পেয়েছেন এবং করোনা চিকিৎসায় নিয়োজিত রয়েছেন। এবং বর্তমানে স্বেচ্ছায় করোনা সংক্রান্ত হটলাইনে সেবা দিচ্ছেন ২ হাজার ২৩৮ জন চিকিৎসক।
তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন বিমানবন্দর, নৌবন্দর ও স্থলবন্দর এবং মৈত্রী ট্রেনের যাত্রীদের যারা বিদেশ থেকে আগত মোট ৬ লাখ ৬৮ হাজার ৩৮৬ জনকে স্ক্রিনিং করা হয়েছে। মোট ২১টি গাইডলাইন তৈরি করা হয়েছে। এই গাইডলাইন আমাদের স্বাস্থ্য অধিদফতরে ও করোনা সংক্রান্ত ওয়েবসাইটে পাওয়া যাচ্ছে।
ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেন, আজকেও প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের ২টি বিভাগ চট্টগ্রাম ও সিলেটের সিভিল প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, সশস্ত্র বাহিনী এবং বিশেষ করে আমাদের স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের ভিডিও কনফারেন্সে কথা বলেছেন। কোো দেশে এ ধরনের ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের ব্যবস্থা মাঠ পর্যায়ে আছে বলে আমরা জানি না। কিন্তু বাংলাদেশের জন্য এটা চমৎকার সুযোগ। আমাদের স্বাস্থ্য অধিদফতরের অধীনে আগে জেলা পর্যায় পর্যন্ত ভিডিও কনফারেন্সিং ব্যবস্থা ছিল। করোনাকে কেন্দ্র করে আমরা এটাকে উপজেলা পর্যন্ত উত্তরণ করেছি। এর ফলে আমরা প্রতিদিনই উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ সভা অথবা বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ নির্দেশনা দিয়ে থাকি। আমাদের এই চিকিৎসা প্রশিক্ষণ কর্মসূচি প্রতিদিনই অব্যাহত রয়েছে।
জেইউ/এমএসএইচ/এমএস