পুলিশ সদস্যদের সুরক্ষা নিশ্চিতের আহ্বান
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে সার্বক্ষণিক মাঠপর্যায়ে পুলিশ সদস্যরা। তাই তাদের নিজেদের সুরক্ষা নিশ্চিত করে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানিয়েছে পুলিশ সদর দফতর।
বৃহস্পতিবার দুপুরে এক ভিডিও বার্তায় পুলিশ সদর দফতরের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) সোহেল রানা এসব কথা জানান।
তিনি বলেন, করোনা সংক্রমণের শুরু থেকেই বাংলাদেশ পুলিশের প্রত্যেক সদস্য মাঠে রয়েছেন। দুই লক্ষাধিক সদস্যের এই বিশাল বাহিনীর সদস্যরা মাঠে থেকে সাধারণ মানুষকে নিরাপদ এবং সুরক্ষিত রাখার কাজ করে চলেছেন।
সোহেল রানা বলেন, কখনো সীমাবদ্ধতার কারণে বা বিশেষ পরিস্থিতিতে তাৎক্ষণিক প্রয়োজনে অনেক ক্ষেত্রে নিজের সুরক্ষা নিশ্চিত করার মতো অবস্থা হয়তো ছিল না। পুলিশ সদস্যদেরকে সাধারণ মানুষের ডাকে সাড়া দিয়ে পাশে দাঁড়াতে হয়েছে। এর মধ্যে নিজেদের সুরক্ষা কখনো কখনো ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে।
পুলিশের প্রত্যেক সদস্যের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সদর দফতর কাজ করছে জানিয়ে পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা অবশ্যই সাধারণ মানুষের সুরক্ষা নিশ্চিতের পাশাপাশি নিজের সুরক্ষা নিশ্চিত করার দিকে মনোনিবেশ করবেন। আপনার নিজের এবং পরিবার-পরিজনদেরকেও সুরক্ষিত রাখার চেষ্টা করবেন। সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে সামাজিক দূরত্ব এবং অন্যান্য যেসব স্বাস্থ্য নির্দেশনা আপনারা প্রচার করছেন, এ বিষয়গুলো নিজেদের ক্ষেত্রেও পালন করবেন। আপনারা যদি সুস্থ না থাকেন, যদি সুরক্ষিত না থাকেন তাহলে মানুষকে সুরক্ষিত রাখা সহজ হবে না।
এদিকে ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) এক সদস্য করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তাকে ময়মনসিংহ সূর্যকান্ত (এসকে) হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
বুধবার (৮ এপ্রিল) ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের পিসিআর ল্যাবে ৫০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে দুই জনের নমুনায় করোনা পজিটিভ পাওয়া যায়। একজন মুক্তাগাছার পুলিশ কনস্টেবল অপরজন জামালপুরের মাদারগঞ্জের বাসিন্দা। এ ঘটনার পর সন্ধ্যায় মুক্তাগাছা এপিবিএনের ৪৩৪ জন সদস্যকে কোয়ারেন্টাইনে রেখে আশপাশের এলাকা লকডাউন ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন।
এআর/এমএসএইচ/পিআর