‘সামাজিক দূরত্বে’ নজর কেড়েছে গ্রাম্য বাজার

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩:২৮ পিএম, ১১ এপ্রিল ২০২০

দেশে করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্তদের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। মারাত্মক ছোঁয়াচে এই রোগের সংক্রমণ ঠেকাতে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিলেও অনেক অসচেতন জনগণের কারণে তা ছড়িয়ে পড়ছে দেশজুড়ে। জনগণ যাতে ঘর থেকে বের না হয়, সেজন্য সরকার নানা পদক্ষেপ নিলে তা কোথাও কোথাও মানা হচ্ছে না। কাঁচাবাজারসহ অনেক জায়গায় সামাজিক দূরত্বের নিয়ম মানা হচ্ছে না।

দেশের অনেক জায়গায় এটি কঠোরভাবে মানা হচ্ছে। নিজ নিজ এলাকাবাসীকে বাঁচাতে সামাজিক দূরত্বের দোকানপাট করা হয়েছে। খোঁজ পাওয়া গেছে এমন বেশ কিছু গ্রাম্য বাজারের।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দেশের জামালপুর, মাগুরা, নেত্রকোনা, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন জায়গায় সামাজিক দূরত্বে বাজার গড়ে উঠেছে। আবার কোথাও কোথাও সামাজিক দূরত্বের দোকান করা হয়েছে। ব্যক্তি উদ্যোগ ছাড়াও বিভিন্ন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ও সামাজিক সংগঠনের মাধ্যমে এসব গড়ে তোলা হয়েছে।

জামালপুর জেলা সদরের ১৩ নম্বর মেষ্টা ইউনিয়নের হাজিপুর বাজারের এমন একটি বাজার সবার দৃষ্টি কেড়েছে। বড় মাঠের ওপর অস্থায়ীভাবে গড়ে তোলা এই বাজারের দোকান বসানো হয়েছে সামাজিক দূরত্ব রেখে। আর ক্রেতারাও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বাজার-সদাই করছেন। স্থানীয়দের উদ্যোগে এটি করা হয়েছে।

jagonews24

মাগুরা জেলার শালিখা উপজেলার গংগারামপুর গ্রামের নবগংগা সংগঠনের সদস্যরা মানুষকে নিরাপদ রাখার জন্য নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।

প্রায় ১৫ দিন আগে থেকেই গংগারামপুর গ্রামে নবগংগার সদস্যরা করোনাভাইরাস সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করার লক্ষ্যে গ্রামের প্রায় প্রতিটি বাড়ি বাড়ি গিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করে আসছেন। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে যাতে সবাই কেনাকাটা করতে পারেন, এজন্য তারা মাকিং করছেন।

নেত্রকোনা জেলার বিভিন্ন জায়াগায় সামাজিক দূরত্বের বাজার তৈরি করে দিচ্ছে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাক।

সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) দেয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, দেশে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৮২ জন। মারা গেছে ৩০ জন, আর সুস্থ হয়েছেন ৩৬ জন।

এইচএস/এসআর/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।