চট্টগ্রামে ব্যারাকের একাংশ লকডাউন, হোম কোয়ারেন্টাইনে ২০০ পুলিশ
চট্টগ্রামে ট্রাফিক পুলিশের এক কনস্টেবল করোনা আক্রান্ত হওয়ায় দামপাড়া ব্যারাকের ২০০ পুলিশ সদস্য ও বিভাগীয় পুলিশ হাসপাতালের তিন চিকিৎসকসহ ২৫ জনকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। সেইসঙ্গে দামপাড়া পুলিশ লাইনের সিএমপির ট্রাফিক উত্তর বিভাগের ব্যারেক লকডাউন করা হয়েছে। এ ছাড়া চট্টগ্রামে নতুন ৫ রোগী শনাক্তের পর তিন উপজেলায় ৪টি বাড়ি লকডাউন করেছে জেলা প্রশাসন।
রোববার (১২ এপ্রিল) রাতেই নগরের ওই ব্যারেক লকডাউন করা হয়। একই সঙ্গে বিভাগীয় পুলিশ হাসপাতালের তিন চিকিৎসক, তিন জন নার্স, সাতজন মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট, ১২ জন রুমমেট ও ব্যারাকের ২০০ জন পুলিশ সদস্যকে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়।
চট্টগ্রামের বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক হাসান শাহরিয়ার জাগো নিউজকে জানান, রোববার চট্টগ্রামের বিআইটিআইডিতে (বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস) নমুনা পরীক্ষায় করোনা আক্রান্ত ছয়জনই পুরুষ। তাদের একজন নগরের পুলিশ লাইন্স এলাকার ৫৫ বছর বয়সী কনস্টেবল। তিনি ট্রাফিক বিভাগে কর্মরত। তিনি সম্প্রতি অসুস্থ হয়ে পড়ার পর থেকে দামপাড়া পুলিশলাইন্স হাসপাতালে আইসোলেশনে রয়েছেন। পুলিশের যেসব সদস্য আক্রান্ত সদস্যের সংস্পর্শে ছিলেন তাদের মধ্যে মোট ২২৫ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন সেখ ফজলে রাব্বি জাগো নিউজকে জানান, রোববার করোনা শনাক্ত প্রতিবন্ধী শিশুটি মারা গেছে। রোববার দিবাগত রাত ৩টার দিকে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। মৃত ৬ বছর বয়সি শিশুটি পটিয়া উপজেলার হাইদগাঁও ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। রাত আড়াইটায় ওই শিশুকে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে আনা হয়। পরে ৩টার দিকে তার মৃত্যু হয়। এখন নিয়ম অনুযায়ী তার দাফনের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।
সীতাকুণ্ড উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মিল্টন রায় জাগো নিউজকে জানিয়েছেন, উপজেলার ফৌজদারহাট এলাকার বাবুল মেম্বারের পুরাতন বাড়ি এলাকায় ৫৫ বছর বয়সী এক বৃদ্ধ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তার বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে।
সাতকানিয়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা নুরে আলম জাগো নিউজকে বলেন, ‘সাতকানিয়া পৌর সদরের ১ নম্বর ও ৮ নম্বর ওয়ার্ডের দুই যুবক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের একজন শিক্ষার্থী, অপরজন ব্যবসায়ী। তাদের বাড়ি লকডাউনের কাজ চলছে। এ ছাড়া বৃহস্পতিবার করোনা রোগী মৃত্যুর ঘটনায় উপজেলার পশ্চিম ঢেমশা এলাকার আলী নগরের ইছামতি গ্রামের ৩৯০ পরিবারের ৩ হাজার ৭১২ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।’
এর আগে, ৯জন করোনা রোগী শনাক্ত হলে চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার একটি গ্রাম, জেলার ২৪টি বাড়ি ও একটি ব্যাংক লকডাউন করা হয়। এ ছাড়া বিভিন্ন এলাকায় হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন প্রায় সাড়ে ৪ হাজার মানুষ।
জেডএ/পিআর