কাজীর দেওরী আউটারে, রিয়াজউদ্দিন বাজার যাচ্ছে পলোগ্রাউন্ডে

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক চট্টগ্রাম
প্রকাশিত: ১০:০১ পিএম, ১৭ এপ্রিল ২০২০

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের ব্যাপক বিস্তার ঠেকাতে উপজেলার পর এবার চট্টগ্রাম নগরের কাঁচাবাজারগুলোকে খোলা মাঠে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)। এর মধ্যে চট্টগ্রাম তথা দেশের অন্যমত বৃহত্তম রিয়াজউদ্দিন বাজারকে পার্শ্ববর্তী পলোগ্রাউন্ড ও ঐতিহ্যবাহী কাজীর দেউরী কাঁচাবাজারকে আউটার স্টেডিয়ামে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিএমপি।

শুক্রবার (১৭ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৮টার দিকে জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মাহবুবর রহমান।

তিনি জানান, ইতিমধ্যেই মডেল প্রোগ্রাম হিসেবে আজ নগরের ঐতিহ্যবাহী চকবাজার কাঁচাবাজারকে চট্টগ্রাম কলেজের প্যারেড মাঠে স্থানান্তর করা হয়েছে।

ctg

কমিশনার মাহবুবর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, ‘মূলত নগরের বাজার নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার এখতিয়ার চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের। তবে পরিস্থিতি বিবেচনায় নগরের বাজারগুলো খোলা জায়গায় নিয়ে আসার উদ্যোগ নিয়েছে পুলিশ। আশা করছি, চলতি মাসের বাকি দিনগুলোর মধ্যেই নগরের সবগুলো বাজার খোলা জায়গায় নিয়ে আসতে পারব। ইতিমধ্যে নগরের বৃহত্তম রিয়াজউদ্দিন বাজারকে পার্শ্ববর্তী পলোগ্রাউন্ডে স্থানান্তরের প্রস্তাব দিয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে। কাজীর দেউরী কাঁচাবাজারকে আউটার স্টেডিয়ামে স্থানান্তরের কথা ভাবছি, যদিও ইতিমধ্যে আশপাশে কিছু দোকান গড়ে তোলায় জায়গাটা অপেক্ষাকৃত ছোট।’

এদিকে, নগরের বক্সিরহাট বাজারকে ঐতিহাসিক লালদীঘি মাঠে স্থানান্তরের প্রস্তাব দিয়েছেন চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ।

ctg

এছাড়া নগরের বহদ্দারহাটকে নুর নগর আবাসিকে, অক্সিজেন বাজারকে বঙ্গবন্ধু এভিনিউ, মোহরা এলাকার কামাল বাজারকে সিডিএ গার্লস স্কুল মাঠে, ২ নম্বর গেট কর্ণফুলী মার্কেটকে ষোলশহর রেলস্টেশনে, খুলশীর ঝাউতলা বাজারকে ঝাউতলা রেলস্টেশনে, সাগরিকা বাজারকে সাগরিকা গরু বাজার মাঠে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব তুলেছেন নগরের সচেতন নাগরিকরা।

সিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার এস এম মেহেদী হাসান জাগো নিউজকে বলেন, ‘চকবাজারকে পরীক্ষামূলকভাবে প্যারেড মাঠে সরানো হয়েছে। এখানে বিষয়টা ফাংসনাল হলে ধীরে বাকি সব বাজারকে স্ব-স্ব এলাকার পাশের মাঠে বা খোলা জায়গায় স্থানান্তর করা হবে। বাজার-কাঁচাবাজার কর্তৃপক্ষ আমাদের সঙ্গে আছেন। ওনারা স্বেচ্ছাসেবক দিয়ে আমাদের সহায়তা করছেন। অস্থায়ী বাজারের জন্য কিছু সুনির্দিষ্ট নিয়ম করা হয়েছে। প্রত্যেক দোকান অবশ্যই সামাজিক দূরত্ব মেনে বসবে। একইসময়ে একজন দোকানি একজনের বেশি ক্রেতার কাছে পণ্য বিক্রি করতে পারবেন না। একজন ক্রেতার পণ্য কেনা শেষ হলে তিনি আরেকজনকে সুযোগ দেবেন। ক্রেতা প্যারেড মাঠের উত্তরের প্রবেশপথ দিয়ে ঢুকবেন, বের হবেন দক্ষিণের গেট দিয়ে। আমাদের একটি টহল দল সবসময় এখানে দায়িত্বে থাকবে।’

এফআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।