চট্টগ্রামে নতুন দুই করোনা রোগী শনাক্ত
তিনদিন ধরে চট্টগ্রামে কমছে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা। আজকের নতুন দুজনসহ গত ১৪ দিনে জেলায় রোগীর সংখ্যা বেড়ে এখন ৩৪ জন।
শুক্রবার (১৭ এপ্রিল) চট্টগ্রামের ফৌজদারহাটে অবস্থিত বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেসের (বিআইটিআইডি) পরীক্ষায় আরও দুজনকে করোনা পজেটিভ পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে একজন চট্টগ্রামের। তিনি চট্টগ্রাম নগরের বাসিন্দা।
রাত ১০ টার দিকে জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন সেখ ফজলে রাব্বি।
তিনি বলেন, আজ শুক্রবার বিআইটিআইডিতে ৯১টি নমুনা পরীক্ষায় নতুন আরও দুজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। একজন চট্টগ্রামের। আরেকজন নোয়াখালীর।
নতুন করোনা আক্রান্তরা- নগরের হালিশহর শাপলা আবাসিকের বাসিন্দা ২৫ বছর বয়সী নারী ও নোয়াখালী জেলার কবিরহাট উপজেলার চাঁনপুর এলাকার এক যুবক (২০)।
চট্টগ্রামের স্বাস্থ্য বিভাগের দেয়া তথ্য অনুয়ায়ী, চট্টগ্রামে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয় গত ৩ এপ্রিল। চট্টগ্রামের দামপাড়ায় ৬৭ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি তার ওমরা ফেরত মেয়ের মাধ্যমে সংক্রমিত হন বলে ধারণা করা হয়। পরে ৫ এপ্রিল ওই ব্যক্তির ২৫ বছর বয়সী ছেলের শরীরেও করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়। তবে গতকাল নতুন পরীক্ষায় তিনি করোনা নেগেটিভ হয়েছেন।
৮ এপ্রিল চট্টগ্রামে করোনায় আক্রান্ত হন তিনজন। একদিন বিরতি দিয়ে ১০ এপ্রিল বিআইটিআইডিতে নমুনা পরীক্ষায় আরও দুইজনকে করোনা পজেটিভ পাওয়া যায়। পরে ১১ এপ্রিল চট্টগ্রামে করোনারোগী হিসেবে শনাক্ত হন তিনজন। ১২ এপ্রিল চট্টগ্রামে সে সংখ্যা বেড়ে পাঁচজন করোনারোগী শনাক্ত হয়। আক্রান্তদের একজন শিশু ওই দিন দিবাগত রাতে জেনারেল হাসপাতালে মারা যায়। এ ছাড়া এদিন ট্রাফিক পুলিশের এক সদস্যও করো আক্রান্ত হন।
সোমবার (১৩ এপ্রিল) চট্টগ্রামে শনাক্ত হওয়া দুই করোনা রোগীর একজন নারী করোনা শনাক্তের আগেই আইশোলসনে থাকা অবস্থায় মারা যান।
মঙ্গলবার (১৪ এপ্রিল) সর্বোচ্চ ১১ জন করোনারোগী শনাক্ত হয়। এর মধ্যে এক চিকিৎসক, সাতকানিয়ার পাঁচ যুবক ও নগরে সাগরিকা এলাকার এক পরিবারের চারজন করোনায় আক্রান্ত হন।
বুধবার (১৫ এপ্রিল), বৃহস্পতিবার (১৬ এপ্রিল) ও আজ শুক্রবার আক্রান্তের সংখ্যা কমে হয় যথাক্রমে ৫, ১ ও ২ জন।
এ নিয়ে চট্টগ্রামে এক শিশু, দুই বৃদ্ধ ও দুই নারীসহ মোট পাঁচজন করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। এ ছাড়া আইশোলসনে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন চারজন। মৃত্যুর পর তাদের তিনজনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষায় করোনা নেগেটিভ পাওয়া যায়। একজনের ফলাফল জানা যায়নি। বর্তমানে চট্টগ্রামে আইশোলেসনে আছেন ৩৮ জন।
জেডএ