এন-৯৫ মাস্ক নিয়ে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ সিএমএসডির

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ১০:২৯ পিএম, ১৮ এপ্রিল ২০২০

বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে এন-৯৫ মাস্ক ক্রয় প্রক্রিয়া নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী, সচিব ও স্বাস্থ্য মহাপরিচালককে জড়িয়ে বিভ্রান্তিমূলক অপপ্রচার চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন সেন্ট্রাল মেডিসিন স্টোর ডিপোর্ট (সিএমএসডি) পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শহিদউল্লাহ। তার দাবি, এ ক্রয় প্রক্রিয়ার সাথে তাদের কোনো সংশ্লেষ নেই।

শনিবার এক প্রতিবাদলিপিতে তিনি বিভিন্ন সংবাদ এবং সামাজিক গণমাধ্যমে এন-৯৫ মাস্ক ক্রয় নিয়ে বিভ্রান্তিমূলক তথ্যে বিভ্রান্ত না হতে চিকিৎসকদের প্রতি অনুরোধ জানান।

তিনি জানান, সিএমএসডি কোনো দেশীয় চিকিৎসাসামগ্রী প্রস্তুতকারী কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানের কাছে এন-৯৫ মাস্ক সরবরাহের কার্যাদেশ প্রদান করেনি। বাংলাদেশি চিকিৎসাসামগ্রী প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান জেএমআই কোভিড-১৯ সংক্রমণের আগে থেকেই হ্যান্ড গ্লোভস, স্যানিটাইজার, সাধারণ মাস্ক ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের লাইসেন্স ও ছাড়পত্র অনুযায়ী সিএমএসডিকে সরবরাহ করে আসছে। ওই কোম্পানি যে মোড়কে মাস্ক সররবাহ করে সে মােড়কে এন-৯৫ মুদ্রিত ছিল। সিএমএসডি ভুলক্রমে সাধারণ মাস্ক হিসেবেই পণ্যগুলাে সরবরাহ করে। বিষয়টি প্রাথমিক পর্যায়েই নজরে আসে।

তিনি আরও জানান, সিএমএসডি তাৎক্ষণিক সরবরাহকারী কোম্পানিকে মাস্কগুলাে ফেরত দেয় এবং কেন এমন মােড়কে সাধারণ মাস্ক সরবরাহ করেছে তার লিখিত জবাব চায়। কোম্পানিটি দেরি না করে ভুলের ব্যাখ্যা দেয়। বিষয়টি এখানেই শেষ হওয়া উচিত ছিল। সিএমএসডি বর্তমান দুর্যোগকালে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য পরিস্থিতি মােকাবিলায় সরকারি ক্রয় আইন অনুসরণ করেই ক্রয় প্রক্রিয়া অনুসরণ করছে। অথচ বিভ্রান্তিমূলকভাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী, স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পুত্র, স্বাস্থ্য সচিব এবং স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালককে জড়িয়ে মানহানিকর সংবাদ প্রকাশিত হচ্ছে।

সিএমএসডি পরিচালক বলেন, এই ক্রয় প্রক্রিয়ায় এসব ব্যক্তিবর্গের কোনো সংশ্লেষ নেই এবং তাদের আর্থিক বা অন্যান্যভাবে লাভবান হওয়ার কোনো সুযােগ নেই। অপপ্রচারগুলোতে ইচ্ছাকৃতভাবে তাদের জড়িয়ে মিথ্যা রাজনৈতিক এবং চরিত্রগত রটনারও অবকাশ করা হচ্ছে। এ ধরনের অপরাধীচক্রকে হুঁশিয়ার করা যাচ্ছে যে, তারা এ ধরনের অপচেষ্টা থেকে নিজেকে বিরত না করলে ডিজিটাল তথ্য আইন অনুযায়ী মামলা দায়ের করা হবে।

তিনি জানান, এন-৯৫ মাস্ক কেবল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেই উৎপাদিত হয়। কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে দেশটি এই মাস্কের রফতানি বন্ধ করে দিয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং অন্যান্য বিশেষজ্ঞ সংস্থা এর সমমানের একাধিক মাস্ক ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়ে থাকে। এগুলো ইউএসএফডিএ বা সিই সনদপ্রাপ্ত কেএন-৯৫, এফএফপি২ বা পি-২মাস্ক। কাজেই সিএমএসডি এন-৯৫ মাস্ক পর্যাপ্ত সংখ্যায় সরবরাহ করতে না পারলেও সনদপ্রাপ্ত বিকল্প মানসম্পন্ন মাস্ক সরবরাহ করছে।

উল্লেখ্য, ইতোমধ্যে স্বাস্থ্য অধিদফতর সকল সরকারি স্বাস্থ্যপ্রতিষ্ঠানকে বরাদ্দ অর্থ থেকে নিজ উদ্যোগেও পিপিই, মাস্ক ও অন্যান্য সুরক্ষা ও চিকিৎসা সামগ্রী সংগ্রহ করার নির্দেশ দিয়েছে। উদ্দেশ্য সকল সুরক্ষা ও চিকিৎসা সামগ্রীর নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করা।

এমইউ/বিএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।