করোনার মধ্যে জানাজায় জনসমাগমে বিশিষ্টজনদের উদ্বেগ
করোনাভাইরাসের সংক্রমণের মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মাওলানা জুবায়ের আহমদ আনসারীর জানাজায় লক্ষাধিক মানুষের জমায়েত হওয়ার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দেশের বিশিষ্টজনেরা। তারা জনস্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করে এ বিষয়ে সরকারকে জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ নেয়ার জোর দাবিও জানিয়েছেন।
এক যৌথ বিবৃতিতে বিশিষ্টজনরা বলেন, সরকার ঘোষিত লকডাউন উপেক্ষা করে এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখে গত ১৮ এপ্রিল (শনিবার) সকালে এই জমায়েতের আয়োজন করা হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন এই জমায়েত ঠেকাতে সেভাবে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেনি বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ দেশে করোনায় মোট আক্রান্ত যখন দুই হাজার ছাড়িয়ে গেছে এবং দেশের অর্ধেকেরও বেশি জায়গা যখন সরকার থেকে লকডাউন করা হয়েছে এবং সরকার থেকে এ বিষয়ে কঠোর অবস্থানের কথা বলা হচ্ছে, তখন এ ধরনের জনসমাবেশ স্থানীয় প্রশাসন কিভাবে করতে দিল সে বিষয়ে প্রশ্ন থেকে যায়।
‘এতে কোনো সন্দেহ নেই যে, এই সমাবেশের মধ্য দিয়ে করোনা ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি অনেক বাড়লো। জনস্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করে এ বিষয়ে সরকারকে জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ নেয়ার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি’- বলা হয় বিবৃতিতে।
এতে স্বাক্ষর করেন জাতীয় অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান, ঐক্য ন্যাপের সভাপতি পঙ্কজ ভট্টাচার্য, সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের সভাপতি জিয়া উদ্দিন তারেক আলী, সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক সালেহ আহমেদ, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি ডা. সারওয়ার আলী, নাট্যব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার, মহিলা পরিষদের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম, নারী নেত্রী খুশী কবির, রোকেয়া কবির, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আজিজুর রহমান, অধ্যাপক এম. এম. আকাশ, অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস, সাম্প্রদায়িকতা-জঙ্গিবাদবিরোধী মঞ্চের সদস্য সচিব ড. নুর মোহাম্মদ তালুকদার, জাতীয় শ্রমিক জোটের সভাপতি মেসবাহউদ্দিন আহমেদ, গণতান্ত্রিক আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জাহিদুল বারী, শ্রমিক নেতা আব্দুর রাজ্জাক, সংস্কৃতি কর্মী ড. সেলু বাসিত, আইনজীবী পারভেজ হাসেম, সংস্কৃতি কর্মী এ কে আজাদ, উঠোন সাংস্কৃতিক সংগঠনের সভাপতি অলক দাস গুপ্ত, আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান’র সভাপতি হুমায়ুন কবির ও গৌরব’র সাধারণ সম্পাদক এফ এমন শাহীন।
এফএইচএস/এইচএ/এমকেএইচ