৫৫ জেলায় ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রীর যাবতীয় নির্দেশনা

ফজলুল হক শাওন
ফজলুল হক শাওন ফজলুল হক শাওন , বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৯:৪৪ পিএম, ২১ এপ্রিল ২০২০
ফাইল ছবি

করোনাভাইরাস নিয়ে করণীয় সম্পর্কে ৫৫ জেলার সঙ্গে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাষ্ট্র পরিচালনায় তৃণমূলে যারা গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন। এসব কনফারেন্সে যুক্ত ছিলেন মন্ত্রী, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, সিভিল সার্জন, সেনাবাহিনীর সদস্য, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, আওয়ামী লীগের এমপি, জেলা কমিটির নেতা, মসজিদের ইমাম, শিক্ষক, শিল্পী ও নার্স। করোনা ও ত্রাণ নিয়ে মাঠে যারা কাজ করছেন ভিডিও কনফারেন্সে তাদের প্রায় দুশ নেতার সঙ্গে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মাঠ পর্যায়ে কথা বলার সময় করোনা নিয়ে করণীয় প্রসঙ্গে বিস্তারিত নির্দেশনা দিয়েছেন।

করোনাভাইরাস প্রকোপ আকার ধারণ করার সঙ্গে সঙ্গে গত ৩১ মার্চ তিনি প্রথম ভিডিও কনফারেন্স করেন। এই ভিডিও কনফারেন্সে দেশের ছয় জেলা যুক্ত ছিল। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৩ জেলার সঙ্গে সংযুক্ত হন এবং সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলেন। মতমিনিময়কালে জেলা পর্যায়ের একজন নেতা, জেলা প্রশাসক, এমপি এমনকি একজন নার্সের কাছ থেকেও সমস্যার কথা শুনেছেন এবং পরামর্শ নিয়েছেন। এভাবে ৭ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী আরও ১৩ জেলা, ১২ এপ্রিল ১৪ জেলা, ১৬ এপ্রিল সাত জেলা ও ২০ এপ্রিল আটটি জেলার সঙ্গে সংযুক্ত হয়ে কথা বলেছেন।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী করোনাকে মোকাবিলা, ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ, কৃষি উৎপাদন অব্যাহত রাখা, কাঁচামাল হিসেবে পরিচিত বা দ্রুত পচনশীল দ্রব্য পরিবহন, বিতরণ ও বাজারজাতকরণ, ধান কাটার সময় শ্রমিকরা যাতে সংশ্লিষ্ট জেলায় যেতে পারে সে জন্য জেলা প্রশাসক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশনা দেয়া, করোনার চিকিৎসায় অবহেলা না করা, করোনা হলে তাকে যেখানে সেখানে ফেলে না আসা, নিজেকে সুরক্ষা এবং অপরকে সুরক্ষা রাখা, ত্রাণ বিতরণের সময় দলীয় কোনো পরিচয় না দেখা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলাসহ বিস্তারিত নির্দেশনা নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

গত পাঁচটি ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, করোনায় শুধু বাংলাদেশ নয়, সারা পৃথিবীর ২৫০ কোটি মানুষ আছে ঘরবন্দি। মানুষের জীবনযাত্রা স্থবির হয়ে গেছে। মসজিদ, মন্দির, গির্জা ও প্যাগোডায় এখন আর জমায়েত নেই। এর মধ্যেও আমাদের কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে হবে। কিছু শিল্প-কলকারখানা চালু রাখতে হবে। কৃষিকাজ পুরোটাই অব্যাহত রাখতে হবে। নিরাপদ দূরত্ব থেকে করোনা রোগীকে চিকিৎসা করতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনা প্রতিরোধে যে ৩১ দফা নির্দেশনা দেয়া হয়েছে সেই ৩১ দফা নির্দেশনা মেনে চলবেন। কৃষকের উৎপাদিত পণ্যের সরবরাহ হাট-বাজার দূরত্ব বজায় রেখে যেন চলে সে নির্দেশনাও দেন। যাতে তাদের পণ্য বিক্রি করতে পারে এবং ব্যাপারীরা যেন হাট বাজারে আসতে পারে সে নির্দেশনা দেন।

তিনি বলেন, আমরা যে ত্রাণ দিচ্ছি তাতে পাঁচ কোটি মানুষ উপকার পাবে। দেশের বিভিন্ন জেলায় সচিবদেরকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তারা ত্রাণসহ সার্বিক বিষয় দেখাশোনা করবেন।

তিনি বলেন, ছাত্রলীগকে নির্দেশ দিয়েছি মানুষের ধান কাটার জন্য। এছাড়া দুইশ কোটি টাকার যন্ত্রপাতি ধান কাটার জন্য সরবরাহ করা হয়েছে।

তিনি দেশের মানুষকে আশার বাণী শুনিয়ে বলেন, ভেঙে পড়ার কিছু নেই। দুর্যোগ আসবে সে দুর্যোগকে আমরা জয় করব। বাঙালি সাহসী মনের মানুষ। আমরা যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি। মনে সাহস নিয়ে আমরা এগিয়ে যাব নিয়মকানুন মেনে চলবো তাহলে করোনা যুদ্ধে বিজয় অর্জন করতে পারব।

তিনি বলেন, কিছু কিছু ইন্ডাস্ট্রি খোলা দরকার; তবে সেগুলো স্বাস্থ্য নির্দেশনা যেন মেনে চলে। শ্রমিকদের যেন সুরক্ষা করা হয। যেমন ওষুধ ফ্যাক্টরি, মাস্ক পিপিই হেড ক্যাপসহ বিভিন্ন সামগ্রী তৈরির জন্য যেসব ফ্যাক্টরি খোলা রাখা দরকার সীমিতভাবে রাখতে হবে। কিন্তু আগের মত সুপারভাইজারদের দিয়ে গার্মেন্ট কর্মীদের যেভাবে ডেকে আনা হয়েছে সেই অমানবিকভাবে যেন ঢাকায় না আনা হয়। কল কারখানা ফ্যাক্টরি গার্মেন্ট চালু করবে সেখানে যেন ডব্লিউএইচওর নির্দেশনা মেনে যেন কাজ করা হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ধান, চাল ও গম মিলিয়ে মোট ২১ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য সংগ্রহ করবো। আমাদের খাদ্যের কোনো অভাব হবে না। এবার যে বোরোর ফসল হয়েছে তাতে আমাদের খাদ্য ভাণ্ডার আরও বেশি শক্তিশালী হবে। কৃষি মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন এক ইঞ্চি জায়গা যেন পতিত না থাকে।

মৃত্যু প্রসঙ্গে তিনি বলেন, হায়াৎ-মউত আল্লাহর হাতে। আজ আমি এখানে বসে আছি এখানেও মরতে পারি। যে কোনো জায়গায় মানুষের মৃত্যু হতে পারে। তিনি বলেন, পৃথিবীর যে সব লোক অর্থ এবং অস্ত্রের দম্ভ করত করোনাভাইরাস মোকাবিলায় তাদের এসব দম্ভ কাজে লাগেনি।

ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনপ্রতিনিধিদের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ত্রাণ নিয়ে কোনো রকম অনিয়ম ও দুর্নীতি সহ্য করা হবে না। কেউ দুর্নীতি করলে তাৎক্ষণিকভাবে তার বিচার হবে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে।

এক জেলা থেকে অন্য জেলায় কাউকে যেতে না দেয়া, স্বাস্থ্য অধিদফতরের নির্দেশাবলি মেনে চলা, খোলা জায়গায় বাজার বসানো, হাওর এলাকায় ধান যেন নষ্ট না হয় সে ব্যবস্থা করা, উন্নয়ন কাজ বাধাগ্রস্ত না করা, কৃষিখাতে পাঁচ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা, মসলাজাতীয় পণ্যের উৎপাদন অব্যাহত রাখতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যন্ত দরিদ্র ও বেকার পরিবারের তালিকা করে বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ, চলতি মাসে করোনাভাইরাসের প্রভাব আরও বাড়তে পারে এ জন্য বেশি সতর্ক থাকা, কেউ করোনায় আক্রান্ত হলে অচ্ছুত হয়ে গেছে এমন মানসিকতা পরিহার করা, তাকে মানবিক দৃষ্টিতে দেখা, অনেকে হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসক পাচ্ছেন না, সেবা পাচ্ছেন না কেন পাচ্ছে না তা দেখা, করোনা সংকটে কাজ করা চিকিৎসক, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যসহ সংশ্লিষ্ট সবার বীমার ব্যবস্থা করা, করোনায় চিকিৎসাসেবা দানকারীদের ৫-১০ লাখ টাকা স্বাস্থ্যবীমা দেয়ার প্রতিশ্রুতি চিকিৎসক ও সংশ্লিষ্ট কেউ আক্রান্ত হলে দ্বিগুণ এবং কেউ মারা গেলে তার পরিবার পাঁচগুণ অর্থ সহায়তা পাওয়ার প্রতিশ্রুতি, চিকিৎসক ও সংশ্লিষ্ট যারা জীবন বাজি রেখে করোনা চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন তাদের পুরস্কৃত করা। এ সময় যে ডাক্তাররা পালিয়ে আছেন তাদের তালিকা করে ব্যবস্থা নেয়াসহ বিভিন্ন নির্দেশনা ও প্রতিশ্রতি দেন প্রধানমন্ত্রী।

৩১ মার্চ প্রথম ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানুষ মানুষের জন্য। এটা মনে রাখতে হবে। সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করলে করোনাভাইরাসকেও আমরা জয় করতে পারব।

তিনি বলেন, করোনার সঙ্গে মশা এবং ডেঙ্গু যেন যুক্ত না হয়। এজন্য আমাদের আগে থেকেই খেয়াল রাখতে হবে। করোনার সঙ্গে মশা এবং ডেঙ্গু যুক্ত হলে ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে। এজন্য আগে থেকেই আমাদের সজাগ থাকতে হবে।

এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সে করোনা মোকাবিলায় যে ৩১ দফা নির্দেশনা দেয়া হয়েছে সেগুলো মানার জন্য পাঁচ দিন বার বার তাগিদ দিয়েছেন।

৩১ দফার মধ্যে রয়েছে

১. করোনাভাইরাস সম্পর্কে চিকিৎসা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এ ভাইরাস সম্পর্কিত সচেতনতা কার্যক্রম বাস্তবায়ন করতে হবে।

২. লুকোচুরির দরকার নেই, করোনাভাইরাসের উপসর্গ দেখা দিলে ডাক্তারের শরণাপন্ন হোন।

৩. পিপিই সাধারণভাবে সবার পওয়ার দরকার নেই। চিকিৎসা সংশ্লিষ্ট সবার জন্য পিপিই নিশ্চিত করতে হবে। এই রোগ চিকিৎসায় ব্যবহৃত পিপিই, মাস্কসহ সব চিকিৎসা সরঞ্জাম জীবাণুমুক্ত রাখা এবং বর্জ্য অপসারণের ক্ষেত্র বিশেষ সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।

৪. কোভিড-১৯ রোগের চিকিৎসায় নিয়োজিত সব চিকিৎসক, নার্স, ল্যাব টেকনিশিয়ান, পরিচ্ছন্নতাকর্মী, অ্যাম্বুলেন্স চালকসহ সংশ্লিষ্ট সবার স্বাস্থ্য সুরায় বিশেষ অগ্রাধিকার প্রদান করতে হবে।

৫. যারা হোম কোয়ারেন্টাইনে বা আইসোলেশনে আছেন, তাদের প্রতি মানবিক আচরণ করতে হবে।

৬. নিয়মিত হাত ধোয়া, মাস্ক ব্যবহার ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ এক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবেন।
৭. নদীবেষ্টিত জেলাগুলোয় নৌ-অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করতে হবে।

৮. অন্যান্য রোগে আক্রান্তদের যথাযথ স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং চিকিৎসাসেবা অব্যাহত রাখতে হবে।

৯. পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করা। সারাদেশের সব সিটি করপোরেশন, পৌরসভা ও উপজেলা পরিষদকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম আরও জোরদার করতে হবে।

১০. আইনশৃঙ্খলা বিষয়ে দৃষ্টি দিতে হবে। জাতীয় এ দুর্যোগে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ, প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগসহ সব সরকারি কর্মকর্তা যথাযথ ও সুষ্ঠু সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করে যাচ্ছেন- এ ধারা অব্যাহত রাখতে হবে।

১১. ত্রাণ কাজে কোনো ধরনের দুর্নীতি সহ্য করা হবে না।

১২. দিনমজুর, শ্রমিক, কৃষক যেন অভুক্ত না থাকে। তাদের সাহায্য করতে হবে। খেটে খাওয়া দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য অতিরিক্ত তালিকা তৈরি করতে হবে।
১৩. সোশ্যাল সেফটিনেট কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

১৪. অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড যেন স্থবির না হয়, সে বিষয়ে যথাযথ নজর দিতে হবে।

১৫. খাদ্য উৎপাদন ব্যবস্থা চালু রাখতে হবে, অধিক ফসল উৎপাদন করতে হবে। খাদ্য নিরাপত্তার জন্য যা যা করা দরকার করতে হবে। কোনো জমি যেন পতিত না থাকে।

১৬. সরবরাহ ব্যবস্থা বজায় রাখতে হবে। যাতে বাজার চালু থাকে।
১৭. সাধারণ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।

১৮. জনস্বার্থে বাংলা নববর্ষের সব অনুষ্ঠান বন্ধ রাখতে হবে, যাতে জনসমাগম না হয়। ঘরে বসে ডিজিটাল পদ্ধতিতে নববর্ষ উদযাপন করতে হবে।

১৯. স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতা, সমাজের সব স্তরের জনগণকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রশাসন সবাইকে নিয়ে কাজ করবে।

২০. সরকারের পাশাপাশি সমাজের বিত্তশালী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানগুলো জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সঙ্গে সমন্বয় করে ত্রাণ ও স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম পরিচালনা করবেন।

২১. জনপ্রতিনিধি ও উপজেলা প্রশাসন ওয়ার্ডভিত্তিক তালিকা প্রণয়ন করে দুস্থদের মধ্যে খাবার বিতরণ করবেন।

২২. সমাজের সবচেয়ে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী যেমন- কৃষি শ্রমিক, দিনমজুর, রিকশা/ভ্যানচালক, পরিবহন শ্রমিক, ভিক্ষুক, প্রতিবন্ধী, পথশিশু, স্বামী পরিত্যক্ত/বিধবা নারী এবং হিজড়া সম্প্রদায়ের প্রতি বিশেষ নজর রাখাসহ ত্রাণ সহায়তা প্রদান নিশ্চিত করতে হবে।

২৩. প্রবীণ নাগরিক ও শিশুদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

২৪. দুর্যোগবিষয়ক স্থায়ী আদেশাবলি (এসওডি) যথাযথভাবে প্রতিপালনের জন্য সব সরকারি কর্মচারী ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।

২৫. নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের উৎপাদন, সরবরাহ ও নিয়মিত বাজারজাতকরণ প্রক্রিয়া মনিটরিংয়ের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

২৬. আতঙ্কিত হয়ে অতিরিক্ত পণ্য ক্রয় করবেন না। খাদ্যশস্যসহ প্রয়োজনীয় সব পণ্যের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে।

২৭. কৃষকরা নিয়মিত চাষাবাদ চালিয়ে যাবেন। এক্ষেত্রে সরকারি প্রণোদনা অব্যাহত থাকবে।
২৮. সব শিল্প মালিক, ব্যবসায়ী ও ব্যক্তি পর্যায়ে নিজ নিজ শিল্প ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং বাড়িঘর পরিষ্কার রাখবেন।

২৯. শিল্প মালিকরা শ্রমিকদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে নিজেদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করে উৎপাদন অব্যাহত রাখবেন।

৩০. গণমাধ্যমকর্মীরা জনসচেতনতা সৃষ্টিতে যথাযথ ভূমিকা পালন করে চলেছেন। এক্ষত্রে বিভিন্ন ধরনের গুজব ও অসত্য তথ্য যাতে বিভ্রান্তি ছড়াতে না পারে, সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।
৩১. গুজব রটানো বন্ধ করতে হবে। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে নানা গুজব রটানো হচ্ছে। গুজবে কান দেবেন না এবং গুজবে বিচলিত হবেন না।

এফএইচএস/এএইচ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।