রোজার পণ্য পড়ে আছে, বাজারে আসতে দেরি

জাগো নিউজ ডেস্ক
জাগো নিউজ ডেস্ক জাগো নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:৫২ এএম, ২২ এপ্রিল ২০২০

এবার চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ২৫ কিংবা ২৬ এপ্রিল থেকে রোজা শুরু হওয়ার কথা। ফলে বাকি আছে মাত্র দুই অথবা তিনদিন। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে দেশের প্রায় প্রতিটি জেলা লকডাউন।

এমন অবস্থায় রোজায় বিক্রির জন্য আমদানি পণ্যের অনেক চালান বাজারে ছাড়া সম্ভব হয়নি। এসব পণ্য পড়ে আছে বন্দর, ডিপো ও চট্টগ্রাম এবং নারায়ণগঞ্জের ঘাটে। পরিবহন ও শ্রমিকসংকট, বন্দরে জট ও পণ্য খালাসে যুক্ত সংস্থাগুলোর কার্যক্রম সীমিত থাকায় এই অবস্থা হয়েছে।

জানা গেছে, বহির্নোঙরে বড় জাহাজ থেকে লাইটার জাহাজে এসব পণ্য স্থানান্তর করা হয়। পরে নদীপথে সারা দেশের ৩৯টি ঘাটে নেয়া হয়। সেখান থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে পৌঁছানো হয় এসব পণ্য। সাধারণ ছুটির কারণে এসব পণ্য খালাস কমে গেছে। গত সোমবার পর্যন্ত বন্দরের বহির্নোঙরে বড় জাহাজ থেকেরোজার পণ্য মসুর ডাল, মটর ডাল, ভোজ্যতেল, চিনি খালাস হয় ৬ লাখ ৩৮ হাজার টন। আর অন্যান্য পণ্য মিলে মোট খালাস হয় ১০ লাখ ৪০ হাজার টন।

chola-motor-

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী ঘাট ও নারায়ণগঞ্জ এলাকায় বন্দরের বহির্নোঙরে খালাস পণ্য খালাস হচ্ছে। কিন্তু তা আমদানিকারকের গুদাম হয়ে বাজারজাত করতে বেশ সময় লাগছে।

ছোলা, মসুর, খেজুর, আদা, রসুন, পেঁয়াজ ও পরিশোধিত চিনির মতো পণ্য আমদানি হয় কনটেইনারে। বন্দর সূত্র জানায়, কনটেইনারে আদা, রসুন ও পেঁয়াজের মতো পণ্য থাকলেও পরিমাণে বেশি নয়। ছোলা, খেজুরের মতো কিছু পণ্য বন্দর থেকে ডিপোতে নিয়ে খালাস করতে হয়। বেসরকারি কনটেইনার ডিপোর হিসাবে ডিপোগুলোতে ৭২ কনটেইনার ছোলা এবং ২০৬ কনটেইনার চিনি পড়ে আছে। এ ছাড়া খেজুরবাহী ছোলাও আটকে আছে। সব কার্যক্রম শেষ করে ব্যবসায়ীরা ধীরে ধীরে খালাস নিচ্ছেন।

জেডএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।