যুক্তরাষ্ট্রে আটকে পড়াদের দেশে ফেরানো হবে চার্টার্ড ফ্লাইটে

কূটনৈতিক প্রতিবেদক কূটনৈতিক প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১১:৩৫ এএম, ২৩ এপ্রিল ২০২০

করোনাভাইরাস মহামারির লকডাউনের কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আটকা পড়া বাংলাদেশিদের একটি চার্টার্ড ফ্লাইটে ফিরিয়ে আনার কথা ভাবছে বাংলাদেশ। শিক্ষার্থীসহ প্রায় ২০০ বাংলাদেশি নাগরিক দেশে ফিরে আসতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন বলে জানিয়েছে ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাস। চার্টার্ড ফ্লাইটটি পরিচালনার জন্য সরকার কাতার এয়ারওয়েজের সঙ্গে আলোচনা করছে।

ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রেস মিনিস্টার শামীম আহমেদ জাগো নিউজকে টেলিফোনে বলেন, ‘আমরা দূতাবাসের ওয়েব সাইটে একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানতে চেয়েছিলাম যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণে এসে আটকা পড়েছেন এমন কেউ দেশে ফিরতে চান কিনা। এখন পর্যন্ত দুইশর মতো বাংলাদেশি দেশে ফিরতে চেয়েছেন। তাদের ফেরানোর জন্য একটি চার্টার্ড ফ্লাইট পরিচালনার করতে কাতার এয়ারওয়েজের সঙ্গে আলোচনা চলছে, তবে এখনও কিছুই চূড়ান্ত হয়নি।’

চার্টার্ড ফ্লাইটটি চূড়ান্ত হলে, যেসব বাংলাদেশি দেশে ফিরবেন, তাদেরকে নিজেদের খরচে দেশে ফিরতে হবে বলে জানান শামীম আহমেদ।

ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশের দূতাবাস যুক্তরাষ্ট্র, আর্জেন্টিনা, বেলিজ, কলোম্বিয়া, ডোমিনিকান রিপাবলিক, গিয়ানা এবং ভেনেজুয়েলার কোভিড-১৯ পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।

এর আগে দূতাবাস বাংলাদেশি নাগরিকদের কেউ এসব দেশে আটকা পড়লে প্রয়োজনীয় সহায়তার জন্য হটলাইনের (+ 1-202-740-6305) মাধ্যমে যোগাযোগের জন্য অনুরোধ জানান।

এক প্রশ্নের জবাবে শামীম আহমেদ বলেন, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে যারা মারা যাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্র সরকার তাদের পরিচয় প্রকাশ করে না। ফলে কভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে কতজন বাংলাদেশি মারা গেছেন কিংবা আক্রান্ত হয়েছেন তার সঠিক চিত্র দূতাবাসের কাছে নেই।

‘তবে স্থানীয় বাংলাদেশি কমিউনিটি থেকে যতটুকু জানতে পেরেছি এখন পর্যন্ত ১৬০-১৮০ জন বাংলাদেশি কভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। এছাড়া দেশটিতে প্রায় এক হাজারের বেশি বাংলাদেশি এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন’বলেন তিনি।

শামীম আহমেদ বলেন, ‘নিউইয়র্ক সিটিতে বাংলাদেশের নাগরিকের মোট মৃত্যুর প্রায় ৮০ শতাংশ রেকর্ড করা হয়েছে।'

জেপি/এমএফ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।