এবার ঢামেকের প্যাথলজি বিভাগের ২ জন করোনায় আক্রান্ত
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের প্যাথলজি বিভাগের দুই টেকনোলজিস্ট করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। নমুনা পরীক্ষায় তাদের শরীরে করোনা পজিটিভ এসেছে। দু’জনের মধ্যে একজন সরকারি কর্মচারী, অন্যজন চুক্তিভিত্তিক কাজ করেন।
বৃহস্পতিবার (২৩ এপ্রিল) বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেন ঢামেকের সহকারী পরিচালক (অর্থ) ডা. আলাউদ্দিন আল আজাদ। হাসপাতালের নতুন ভবনের দ্বিতীয় তলায় প্যাথলজি বিভাগটি অবস্থিত।
ডা. আলাউদ্দিন আল আজাদ জানান, প্যাথলজির দুই টেকনোলজিস্ট গত দু’দিন আগে কিছুটা অসুস্থবোধ করলে ঢামেকেই করোনা পরীক্ষা করানো হয়। পরে পরীক্ষায় তাদের দু’জনেরই করোনা পজিটিভ আসে।
তিনি বলেন, ‘করোনাভাইরাস পজিটিভ আসলেও তারা দু’জনই ভালো আছেন। তাদেরকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলা হয়েছে। পরবর্তীতে তাদের যদি কোনো সমস্যা হয়, দ্রুত আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।’
হাসপাতালটিতে করোনা রোগীদের চিকিৎসার বিষয়ে ঢামেকের এ পরিচালক বলেন, ‘করানোয় আক্রান্ত চারজনকে অন্য রোগের কারণে অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। এদের মধ্যে দুই একজনের জানা ছিল যে, তারা এ রোগে আক্রান্ত। বাকিদের জানা ছিল না। পরে পরীক্ষার মাধ্যমে পজিটিভ এসেছে তাদের। আমরা অনেক আগে থেকেই করোনা আক্রান্তদের জন্য একটি ওটি বরাদ্দ দিয়েছি। ১০৬ নাম্বার ইমার্জেন্সি অস্ত্রোপচার কক্ষটি করোনা রোগীদের জন্য ঘোষণা করা হয়েছে।’
এদিকে, প্যাথলজি বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘আমাদের এখানে সিবিসি ও ডেঙ্গু পরীক্ষাসহ প্রায় ৫২ রকম পরীক্ষা করা হয়। সরাসরি হাসপাতালে ভর্তিকৃত রোগীরা এখানে পরীক্ষার জন্য আসেন। ওয়ার্ড থেকেই রোগীদের রক্ত সংগ্রহ করে যদি সেগুলো প্যাথলজিতে পাঠিয়ে দিত, তাহলে আমরা পরীক্ষা করে রিপোর্ট ওয়ার্ডে পাঠিয়ে দিতাম। কিন্তু দেখা যায়, রক্ত সংগ্রহ না করে সরাসরি রোগীকে কাগজ দিয়ে পাঠিয়ে দেয়া হয় প্যাথলজিতে। রোগী না পাঠিয়ে নমুনা রক্ত পাঠালে প্যাথলজি বিভাগ করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব থেকে রক্ষা পেত। বিষয়টি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।’
এর আগে, স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনাবিষয়ক নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানান, মহামারি করোনাভাইরাস দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও সাতজনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে ১২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হিসেবে নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন আরও ৪১৪ জন। ফলে করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে চার হাজার ১৮৬ জনে। এছাড়া সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন আরও ১৬ জন। ফলে মোট সুস্থ হয়েছেন ১০৮ জন।
জেইউ/এফআর/এমকেএইচ