ছুটিতেও কর্মকর্তাদের যােগাযােগ অব্যাহত রাখার নির্দেশ
করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সরকারি-বেসরকারি অফিসে সাধারণ ছুটির মেয়াদ সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে ৫ মে পর্যন্ত বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তবে এ ছুটির মধ্যেও জরুরি প্রয়োজনে কিছু মন্ত্রণালয় ও এর অধীনস্ত দফতরের অফিস খোলা রাখা যাবে। তাই বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সকল কর্মকর্তাকে মােবাইল ফোন সচল রাখার জন্য এবং যুগ্মসচিব পর্যায়ের কর্মকর্তাদেরকে তাদের স্ব স্ব অনুবিভাগ প্রধানগণের সাথে নিয়মিত যােগাযােগ অব্যাহত রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ এপ্রিল) এ সংক্রান্ত একটি অফিস আদেশ জারি করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এতে বলা হয়, সাম্প্রতিক সময়ে সৃষ্ট কোভিড-১৯ ভাইরাস প্রাদুর্ভাব প্রতিরােধে সরকার কর্তৃক সাধারণ ছুটির মেয়াদ সময়ে সময়ে বৃদ্ধি করা হলেও এ মন্ত্রণালয়ের কাজের ধরণ ও পরিধি অনুযায়ী প্রয়ােজনীয় দাপ্তরিক কার্যক্রম চলমান আছে এবং সীমিত আকারে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা দৈনন্দিন গুরুত্বপূর্ণ কাজ সম্পাদন করে আসছেন। এমতাবস্থায়, কোভিড - ১৯ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবজনিত মহামারি সময়কালীন দাপ্তরিক কাজ কর্ম সঠিকভাবে সম্পাদন করার নিমিত্তে সকল কর্মকর্তাকে মােবাইল ফোন সচল রাখার জন্য এবং যুগ্মসচিব পর্যায়ের কর্মকর্তাদেরকে তাদের স্ব স্ব অনুবিভাগ প্রধানগণের সাথে নিয়মিত যােগাযােগ অব্যাহত রাখার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরােধ করা হলাে।
এদিকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে জনসমাগমে আরও কড়াকড়ি আরোপ করে গত বৃহস্পতিবার নতুন ছুটির ঘোষণা দিয়েছে সরকার। নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী আগামী ৫ মে পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার জনপ্রশাসনের আদেশে বলা হয়, আগামী ২৬ এপ্রিল ৩০ এপ্রিল ও ৩ মে থেকে ৫ মে পর্যন্ত সাধারণ ছুটি থাকবে। এসব ছুটির সঙ্গে শুক্র ও শনিবারের সাধারণ ছুটি সংযুক্ত থাকবে। তবে এই ছুটি অন্য সাধারণ ছুটির মতো বিবেচিত হবে না। সন্ধ্যা ৬টার পর কেউ ঘরের বাইরে বের হতে পারবেন না। এ নির্দেশ অমান্য করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই ছুটির সময় যেসব নির্দেশাবলী কঠোরভাবে অনুসরণ করতে হবে তাও বলে দেওয়া হয়েছে।
আদেশে বলা হয়েছে, জরুরি পরিষেবার (বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস, ফায়ার সার্ভিস, পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম, টেলিফোন ও ইন্টারনেট ইত্যাদি) ক্ষেত্রে এ ব্যবস্থা প্রযোজ্য হবে না। ‘কৃষিপণ্য, সার, কীটনাশক, জ্বালানি, সংবাদপত্র, খাদ্য, শিল্প পণ্য, চিকিৎসা সরঞ্জামাদি, জরুরি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য পরিবহন এবং কাঁচা বাজার, খাবার, ওষুধের দোকান ও হাসপাতাল এ ছুটির আওতার বাইরে থাকবে।’
জরুরি প্রয়োজনে অফিস খোলা রাখা যাবে জানিয়ে ছুটির আদেশে বলা হয়েছে, প্রয়োজনে ওষুধশিল্প, উৎপাদন ও রপ্তানিমুখী শিল্প কারখানা চালু রাখতে পারবে বলে আদেশ বলা হয়েছে।
আদেশে বলা হয়, মানুষের জীবন জীবিকার স্বার্থে রিকশা-ভ্যানসহ যানবাহন, রেল, বাস সার্ভিস পর্যায়ক্রমে চালু করা হবে। জনগণের প্রয়োজন বিবেচনায় ছুটিকালীন বাংলাদেশ ব্যাংক সীমিত আকারে ব্যাংকিং ব্যবস্থা চালু রাখার প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেবে।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে গত ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত প্রথম দফায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। পরে দ্বিতীয় দফায় ছুটি ৫ থেকে ৯ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি বাড়ানো হয়। তৃতীয় ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত ও চতুর্থ দফায় ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি লম্বা করা হয়। সর্বশেষ ছুটি আরও ১০ দিন বাড়িয়ে ৫ মে পর্যন্ত দীর্ঘ করা হয়েছে।
এমইউএইচ/এসএইচএস/পিআর