অনুমোদন না থাকায় গণস্বাস্থ্যের কিট পরীক্ষার সুযোগ নেই
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এখন পর্যন্ত অনুমোদন না দেয়ায় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র আবিষ্কৃত র্যাপিড কিটস পরীক্ষার আপাতত কোনো সুযোগ নেই বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
সোমবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মিডিয়া সেল আয়োজিত ‘কোভিড-১৯ পরীক্ষার কিটস’ সংক্রান্ত বিষয়াদি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ও মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক মো. হাবিবুর রহমান খান এ কথা জানান।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি চেয়ারম্যান ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর গতকালের (রোববার) দেয়া বক্তব্যের বিষয়টি তুলে ধরেন অতিরিক্ত সচিব। তিনি বলেন, ‘গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ কিটস পরীক্ষার বিষয়াদি নিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও ওষুধ প্রশাসনকে যেভাবে দোষারোপ করেছেন, তা মিথ্যা ও উদ্যেশ্যপ্রণোদিত। প্রকৃতপক্ষে গণস্বাস্থ্য তাদের দাবির ক্ষেত্রে কোনোরকম প্রটোকল মেইনটেইন করেনি। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র তাদের পর্যাপ্ত প্রস্তুতি না রেখেই ঢালাওভাবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে দোষারোপ করেছেন।’
গণস্বাস্থ্যের র্যাপিড কিটস পরীক্ষার প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মিডিয়া সেলের এ আহ্বায়ক বলেন, ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এখন পর্যন্ত বিশ্বের কোনো দেশকেই র্যাপিড কিটস পরীক্ষার অনুমোদন দেয়নি। এক্ষেত্রে গণস্বাস্থ্যের র্যাপিড কিটস পরীক্ষারও আপাতত কোনো সুযোগ নেই। তবে ভবিষ্যতে এটি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে অনুমোদিত ও নির্দেশিত হলে গণস্বাস্থ্যের কিট গ্রহণে সরকারের কোনো আপত্তি থাকবে না।’
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে হাবিবুর রহমান খান জানান, করোনা প্রতিরোধে খুব দ্রুতই আরও ২ হাজার চিকিৎসক ও ৬ হাজার নার্স নিয়োগ করা হবে।
করোনা মোকাবিলায় সরকারের কাছে এক লাখেরও বেশি কিটস মজুত আছে বলেও জানান অতিরিক্ত সচিব।
সংবাদ সম্মেলনে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান বক্তব্য রাখেন।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মিডিয়া সেলের সদস্য সচিব ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. মাইদুল ইসলাম প্রধান এ সময় হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র আবিষ্কৃত কিটের নাম দেয়া হয়েছে ‘জিআর কোভিড-১৯ ডট ব্লট’। শনিবার (২৫ এপ্রিল) বিকেলে করোনাভাইরাস পরীক্ষার কিটটি হস্তান্তর করে প্রতিষ্ঠানটি। তবে কিট গ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ জানানোর পরও যুক্তরাষ্ট্রের গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার্স ফর ডিজিস কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) ছাড়া গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র উদ্ভাবিত এ কিট গ্রহণের জন্য যায়নি সরকারের কোনো প্রতিষ্ঠান। পরদিনই এ বিষয়ে কথা বলতে ফের সংবাদ সম্মেলন ডাকেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি।
আরএমএম/এফআর/পিআর