কলকাতায় আটকে পড়া বাংলাদেশিদের ফেরাতে তালিকা হচ্ছে

চিকিৎসার জন্য গিয়ে করোনাভাইরাসের কারণে ঘোষিত লকডাউনে ভারতের কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় আটকে পড়া বাংলাদেশি নাগরিকদের মধ্যে যারা আকাশপথে দেশে ফিরে আসতে চান, তাদের তালিকা করছে কলকাতায় বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন।
সোমবার (২৭ এপ্রিল) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানায় উপ-হাইকমিশন।
এতে বলা হয়, আটকে পড়া বাংলাদেশি নাগরিকদের মধ্যে যারা আকাশপথে দেশে ফিরতে চান, তাদের জন্য কলকাতায় উপ-হাইকমিশন তথা বাংলাদেশ সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে। ন্যূনতম সংখ্যক যাত্রী পাওয়া সাপেক্ষে এক বা একাধিক বিশেষ ফ্লাইট পরিচালিত হবে। আগামী ৩১ এপ্রিল দুপুর আইড়াটায় কলকাতা-ঢাকা রুটে প্রথম ফ্লাইট এবং ৩ মে একই সময়ে দ্বিতীয় ফ্লাইট পরিচালনার জন্য প্রয়ােজনীয় অনুমােদন লাভের প্রচেষ্টা চলছে।
ওই ফ্লাইটে প্রত্যাবর্তনে বাংলাদেশি নাগরিকদের অবিলম্বে কলকাতায় বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের ইমেইলে ([email protected]) যােগাযােগ করে নির্দেশনা অনুযায়ী নাম, পাসপাের্ট নম্বর, মােবাইল নম্বর, ইমেইল ও বর্তমান ঠিকানাসহ নিবন্ধন করার জন্য অনুরােধ করা যাচ্ছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, নাম নিবন্ধন সাপেক্ষে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের চূড়ান্ত অনুমােদন পাওয়া গেলে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে নির্ধারিত ভাড়া দিয়ে টিকিট কেনা যাবে। অসুস্থ, প্রবীণ, চিকিৎসার কারণে আগত ব্যক্তি এবং যাদের সড়কপথে ভ্রমণে শারীরিক সমস্যা রয়েছে তাদের বিমানে ভ্রমণের ক্ষেত্র প্রাধিকার দেয়া হবে।
যাত্রীদের নিজ ব্যবস্থাপনায় নেতাজি সুভাষচন্দ্র বােস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নির্ধারিত সময়ে ফ্লাইটের জন্য উপস্থিত হতে হবে। যাদের ভিসার মেয়াদ ইতোমধ্যে শেষ হয়ে গিয়েছে অথবা শীঘ্রই শেষ হবে তাদের ভারত সরকারের এক্সিট ক্লিয়ারেন্সের (বহির্গমন অনুমতিপত্র) জন্য ফরেন রিজিওনাল রেজিস্ট্রেশন অফিসের (এফআরআরও) সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইটে আবেদন করতে হবে। এজন্য কোনো রকম জরিমানা দিতে হবে না।
যাত্রীদের ঢাকা বিমানবন্দরে অবতরণের পর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে এবং বাধ্যতামূলকভাবে দুই সপ্তাহ (১৪ দিন) প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। তবে ‘কোভিড- ১৯’ মুক্ত সনদ দেখানো সাপেক্ষে তাদের হােম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হতে পারে।
এইচএস/এইচএ/এমএস