পুলিশকে পিপিই-মাস্ক দিলো সাত ব্যাংক

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৭:৫৪ পিএম, ২৮ এপ্রিল ২০২০

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন পুলিশ সদস্যরা। দায়িত্ব পালনকালে তাদের করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি রোধে পুলিশ সদরদফতর দিচ্ছে প্রয়োজনীয় সুরক্ষা সামগ্রী। এক্ষেত্রে পুলিশের সারথি হয়ে এগিয়ে এসেছে দেশের শীর্ষস্থানীয় সাতটি ব্যাংক।

সাত ব্যাংকের পক্ষ থেকে আজ মঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল) পুলিশ সদরদফতরে বাহিনীর মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদের কাছে আন্তর্জাতিকমানের এক লাখ পিপিই এবং এক লাখ মাস্ক হস্তান্তর করা হয়েছে।

ব্যাংকগুলো হলো- আইএফআইসি ব্যাংক লিমিটেড, ব্যাংক এশিয়া লিমিটেড, ঢাকা ব্যাংক লিমিটেড, ডাচ-বাংলা ব্যাংক লিমিটেড, ফার্স্ট সিকিউরিটি ব্যাংক লিমিটেড, ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেড এবং ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেড।

আইজিপি ব্যাংকগুলোর এ মহতী উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং এ ধরনের মানবিক কাজে বাংলাদেশ পুলিশের পাশে থাকায় তাদের আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।

পুলিশ সদরদফতরের এআইজি (মিডিয়া) সোহেল রানা বলেন, দেশে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়ার প্রথম দিন থেকেই নিজেদের জীবনের ঝুঁঁকি নিয়ে জনগণের পাশে রয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশের বীর সদস্যরা। করোনা সংক্রমণ রোধে জনসচেতনতা সৃষ্টি, আক্রান্ত ও কোয়ারেন্টাইনে থাকা মানুষের পাশে দাঁড়ানো, দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ, লকডাউন কার্যকর করা, আক্রান্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালে নেয়া, করোনা আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা গেলে যখন ওই ব্যক্তির আপনজনরাও আসেন না, তখন ওই মৃত ব্যক্তির সৎকারের মত মানবিক কাজও নিরলসভাবে করে যাচ্ছেন পুলিশ সদস্যরা।

তিনি বলেন, করোনাকালে পুলিশের এ জনহিতৈষী ও মানবিক কার্যক্রম ইতোমধ্যে দেশের মানুষের কাছে ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়েছে। তবে করোনার প্রাদুর্ভাবের মধ্যে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে সবচেয়ে বেশি আক্রান্তও হচ্ছেন পুলিশ সদস্যরা। সংক্রমণের ঝুঁকি রোধে প্রয়োজনীয় সুরক্ষা সামগ্রী বেশি দরকার। আর পুলিশের সারথি হয়ে এগিয়ে এসেছে এই শীর্ষ সাত ব্যাংক।

আন্তর্জাতিক মানের এ পিপিই এবং মাস্ক তৈরি করেছে বেক্সিমকো গ্রুপের নতুন প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো পিপিই ডিভিশন।

জেইউ/এইচএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।