করোনা : জামানতের অর্ধেক টাকা তুলতে পারবে রিক্রুটিং এজেন্সি
করোনাভাইরাস মহামারির কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো শর্তসাপেক্ষে লাইসেন্স জামানতের অর্ধেক পরিমাণ অর্থ ফেরত নিতে পারবে। বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সির (বায়রা) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নির্দিষ্ট সময় শেষে এই অর্থ আবার মন্ত্রণালয়কে ফেরত দিতে হবে।
মঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল) প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত একটি অফিস আদেশ জারি করে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
জানা যায়, নতুন নীতিমালা অনুযায়ী লাইসেন্স পেতে হলে যে কোনো রিক্রুটিং এজেন্সিকে ২০ লাখ টাকা প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে জামানত হিসেবে জমা দিতে হয়। আগে এই অর্থের পরিমাণ ছিল ১৫ লাখ টাকা।
প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় জানায়, কর্মচারীদের বেতন ও অফিস ভাড়া দেয়ার জন্য বায়রার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে চলমান স্থবির অবস্থা বিবেচনায় ফেরতযোগ্য শর্তে লাইসেন্স জামানতের অর্ধেক পরিমাণ অর্থ রিক্রুটিং এজেন্টদের দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়।
মঙ্গলবার বিকেলে মন্ত্রণালয় হতে জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) মহাপরিচালককে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
মন্ত্রণালয় আরও জানায়, রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোকে জামানতের ৫০ শতাংশ টাকা উত্তোলনের জন্য বিএমইটির মহাপরিচালকের নিকট আবেদন করতে হবে। আবেদনের সাথে এক বছরের মধ্যে উক্ত টাকা অবশ্যই ফেরত দেবে মর্মে রিক্রুটিং এজেন্সিকে তিনশ’ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে বিএমইটির কাছে অঙ্গীকারনামা জমা দিতে হবে।
মন্ত্রণালয়ের আদেশে বলা হয়, ফেরতযোগ্য জামানতের ৫০ শতাংশ অর্থ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ফেরত প্রদানে ব্যর্থ হলে সংশ্লিষ্ট এজেন্সির রিক্রুটিং লাইসেন্স বাতিল করা হবে।
এছাড়া যে সকল এজেন্সির লাইসেন্স বাতিল বা স্থগিত কিংবা জামানত বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে সেসকল রিক্রুটিং এজেন্সির আবেদন বিবেচিত হবে না বলেও জানানো হয় আদেশে।
জেপি/এইচএ/পিআর