‘পণ্য খালাসের ক্ষেত্রে সবগুলো সমস্যা দেখা হচ্ছে’
করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে গত ২৬ মার্চ থেকে দেশে সাধারণ ছুটি চলছে। এই ছুটি চলবে আগামী ৫ মে পর্যন্ত। ছুটির কারণে বন্দরের কাজে স্থবিরতা নেমে আসে। এতে আমদানি করা বিপুল পরিমাণ পণ্য আটকে যায় দেশের বন্দরগুলোতে। এর মধ্যে রমজানের বিভিন্ন নিত্যপণ্যও রয়েছে। চাহিদার তুলনায় বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ না থাকায় এবার রমজানে অনেক পণ্যেরেই দামই চড়া।
তবে আমদানি করা পণ্য খালাসের ক্ষেত্রে বন্দরের সবগুলো সমস্যা বিবেচনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন নৌ-পরিবহন সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী। বৃহস্পতিবার জাগো নিউজকে তিনি এ কথা বলেন।
নৌ-পরিবহন সচিব জাগো নিউজকে আরও বলেন, ‘ছুটির মধ্যে বন্দরে এসে জমে থাকা পণ্য ছাড়ের বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ছুটির সময়ে যতপণ্য এসেছিল, নির্দিষ্ট সময় পরে যে স্টোররেন্ট দিতে হত তা মওকুফ করে দেয়া হয়েছে। এখন যে কেউ চাইলে পণ্য নিয়ে আসতে পারবে।’
তিনি বলেন, ‘এছাড়া কাস্টমস সব পণ্য খালাসের অনুমতি দিয়েছে। সেখানে ব্যাংকগুলো বিকেল ৫টা পর্যন্ত কাজ করছে। ব্যাংকিং নিয়েও এখন কোনো সমস্যা নেই, সবগুলো সমস্যা সেটেলড হয়ে গেছে।’
‘বন্দরে ফুল সুইংয়ে এখন কাজ হচ্ছে। সবগুলো সমস্যাই দেখা হচ্ছে। আমরা সমস্যাগুলো সম্পর্কে অবহিত আছি, আমি ও আমার প্রতিমন্ত্রী মহোদয় চট্টগ্রাম বন্দরে গিয়ে মিটিংও করে এসেছি’ বলেন সচিব।
নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (বন্দর) এম এম তারিকুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, ‘২৭ এপ্রিল থেকে ৪ মে পর্যন্ত সরকারি ছুটি থাকার সময় পর্যন্ত চট্টগ্রাম বন্দরর স্টোররেন্ট মওকুফ করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘বন্দরের বেসরকারি জেটি বা অফ ডকেও ব্যবসায়ীরা স্টোররেন্ট মওকুফ চেয়েছেন। অফ ডক সংশিষ্টদের অ্যাসোসিয়েশন আছে। তারা আলোচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।’
আরএমএম/এমএফ/জেআইএম