গ্রামে পাঠানো হলো দুই করোনাযোদ্ধা পুলিশের মরদেহ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩:৫১ পিএম, ৩০ এপ্রিল ২০২০

করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) দুই সদস্যের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় রাজারবাগ কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে স্বাস্থ্যবিধি মেনে তাদের জানাজা পড়ানো হয়। এরপর পুলিশি ব্যবস্থাপনায় তাদের নিজ নিজ গ্রামে পাঠানো হয়।

এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছে পুলিশ সদর দফতর। বিজ্ঞপ্তিতে করোনায় প্রাণ হারানো দুজনকে পুলিশের গর্বিত সদস্য বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

মৃত্যুবরণকারী দুজন হলেন ডিএমপির পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট (পিওএম) দক্ষিণে কর্মরত এএসআই আব্দুল খালেক (৩৬)। আরেকজন ট্রাফিক উত্তরের বিমানবন্দর এলাকায় কর্মরত কনস্টেবল আশেক মাহমুদ (৪২)।

গত ২৮ এপ্রিল শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হলে এএসআই মো. আবদুল খালেককে আইসোলেশনে রাখা হয়। বৃহস্পতিবার ভোরে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও তিন মেয়ে রেখে গেছেন। তার বাড়ি বরগুনা জেলার বেতাগী থানার ঝোপখালী গ্রামে।

এদিকে জ্বর থাকায় গত ২৬ এপ্রিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) করোনা পরীক্ষার জন্য কনস্টেবল মো. আশেক মাহমুদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরদিন করোনা পরীক্ষায় রিপোর্ট পজিটিভ আসায় তাকে আইসোলেশনে রাখা হয়।

অবস্থার অবনতি হলে তাকে ২৯ এপ্রিল ভর্তি করা হয় কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি গতকাল রাত সাড়ে ১০টায় মৃত্যুবরণ করেন। তার গ্রামের বাড়ি জামালপুর জেলার মেলান্দহ উপজেলার ইন্দ্রাবাড়ি গ্রামে। তিনি স্ত্রী ও দুই ছেলে রেখে গেছেন।

উল্লেখ্য, এ নিয়ে বাংলাদেশ পুলিশের তিন সদস্য করোনাভাইরাসে প্রাণ হারালেন। এর আগে গত মঙ্গলবার পুলিশ কনস্টেবল জসিম উদ্দিনের (৩৯) করোনাভাইরাসে মৃত্যু হয়। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমিপ) ওয়ারী বিভাগের ওয়ারী থানায় কর্মরত ছিলেন তিনি। তার গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার বুড়িচংয়ে।

এআর/এমএসএইচ/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।