স্বাস্থ্যবিধি মেনেই জাতীয় মসজিদে জুমা আদায়, করোনা মুক্তির দোয়া
করোনাভাইরাসের কারণে জনসমাগম এড়াতে সরকারের পক্ষ থেকে বিধিনিষেধ জারি করায় বেশ কয়েক জুমায় বড় জামাত হয়নি জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে। তবে মসজিদে নামাজ পড়ার ওপর শর্তসাপেক্ষে বিধিনিষেধ তুলে নেয়ায় শুক্রবার (৮ মে) সেখানে মুসল্লিদের ভিড় দেখা গেছে।
দেখা গেছে, নামাজ পড়তে আসা মুসল্লিদের জন্য বসানো হয়েছিল জীবাণুনাশক অটোমেটিক স্প্রে মেশিন। প্রবেশের আগে সবার হাত ধোয়ানো হচ্ছে। সেই সঙ্গে মাস্ক পরছেন কি না সেটা নিশ্চিত হয়েই মসজিদে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে। আর নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে নামাজ পড়েছেন সবাই। দায়িত্বরত ব্যক্তিরা সব বিধিনিষেধ কঠোরভাবে পালন করতে মুসল্লিদের বাধ্য করেন। স্বাস্থ্যবিধি মেনেই জুমার নামাজ আদায় করেন মুসল্লিরা।
কয়েক সপ্তাহ পর জাতীয় মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করেই অনেকে শুকরিয়া আদায় করেছেন। সঙ্গে সঙ্গে এই মহামারি থেকে জাতি যে মুক্তি পায় সেজন্য দোয়া করেছেন বলে অনেক মুসল্লি জানিয়েছেন।
নামাজ শেষে নয়াপল্টনের বাসিন্দা ইউসুন মণ্ডল জাগো নিউজকে বলেন, ‘অনেক দিন পর মসজিদে নামাজ পড়তে পেরে খুশি। তবে করোনার ভয় সবসময় তাড়া করছে। আমরা মোনাজাতে করোনা নামক গজব থেকে মুক্তি চেয়েছি।’
এর আগে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস বিস্তার রোধে গত ৬ এপ্রিল সর্বসাধারণকে ইবাদত বা উপাসনা নিজ নিজ বাড়িতে পালনের নির্দেশ দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। নির্দেশনায় বলা হয়, মসজিদে জামাত চালু রাখার প্রয়োজনে খতিব, ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খাদেম মিলে পাঁচ ওয়াক্তের নামাজে সর্বোচ্চ ৫ জন এবং জুমার জামাতে সর্বোচ্চ ১০ জন শরিক হতে পারবেন। জনস্বার্থে বাইরে মুসল্লি মসজিদের ভেতরে জামাতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। বৃহস্পতিবার (৭ মে) এই বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার পর এটাই প্রথম জুমা।
১৯৬৮ সালে নির্মাণের পর অনেক রাজনৈতিক উত্থান-পতন ও আন্দোলনের সাক্ষী বায়তুল মোকাররম মসজিদ। অনেক আন্দোলনের ঢেউ আছড়ে পড়েছে সেখানে। কিন্তু কোনো সময়ই এমন মুসল্লিহীন ছিল না। ভয়াবহ করোনাভাইরাসের কারণে মসজিদে জামাত নিষিদ্ধ করা হয়। এজন্য দেশের জাতীয় মসজিদের গেটগুলো ছিল তালাবন্ধ। ভেতরে স্বল্পসংখ্যক মুসল্লি নিয়ে জুমার নামাজ সম্পন্ন হয়েছে গত কয়েক সপ্তাহ। সে সময়ে অনেককেই সামাজিক দূরত্ব মেনে মসজিদ এলাকার ফুটপাতে নামাজও পড়তে দেখা গেছে।
এইচএস/এফআর/পিআর