‘মানুষ বাজারে যাবে না, বাজার যাবে তাদের দরজায়’
করোনাভাইরাসে সৃষ্ট লকডাউন পরিস্থিতি শুরুর পর ফুলার রোড, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা, শিববাড়ি, উত্তর নীলক্ষেত, দক্ষিণ নীলক্ষেত ও বঙ্গবন্ধু মেডিকেল স্টাফ কোয়ার্টারসহ বিভিন্ন স্থানে পিকআপে করে সবজি বিতরণ করছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ২১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. আসাদুজ্জামান আসাদ। পাঁচ জনের পাঁচটি টিম গঠন করে মোট ২৫ জন স্থানীয় মানুষের সহায়তায় এই কাজ করে যাচ্ছেন বলে জানান কাউন্সিলর আসাদ। চলমান করোনাভাইরাস মোকাবিলার পাশাপাশি ডেঙ্গু নিধনেও মাসব্যাপী কর্মসূচি হাতে নিয়েছেন বলে জানান তিনি।
তিনি জানান, প্রায় প্রতিদিনই ৫০০ দুস্থ মানুষের ঘরে খাবার পৌঁছে দিচ্ছেন। প্রায় ২০ রকমের সবজি নিয়ে ওয়ার্ডের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে ঘুরে বেড়ান সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বাসায়ও শাক-সবজি পৌঁছে দেয়ার চেষ্টা করেছেন বলে জানান আসাদ।
এছাড়াও কর্নার জীবাণুনাশক ছিটানো হয়েছে পুরো ওয়ার্ড এলাকায়। নগরীতে হঠাৎ মশার উপদ্রব বেড়ে যাওয়ায় মশকনিধন কর্মসূচি পালন করছেন জানিয়ে তিনি বলেন, নিজের সাধ্যমতো চেষ্টা করছি মানুষের পাশে থাকার। করোনাভাইরাস দুর্যোগ মোকাবিলায় আমি আমার ওয়ার্ডের মানুষকে বাজার বিমুখ করতে সবার দরজায় কাঁচাবাজার পৌঁছে দেয়ার অংশ হিসেবে সবজি ফেরি করছি।
এই কাউন্সিলর বলেন, আমি মনে করি বাজারঘাট থেকে অদৃশ্য এই ভাইরাস সংক্রমণের একটি ঝুঁকি থাকে। বিশেষজ্ঞরাও তাই দাবি করছেন। তাই আমি চেয়েছি আমার ওয়ার্ডের মানুষ বাজারে যাবে না, বাজার যাবে তাদের দরজায়। এই আগ্রহ থেকে পিকআপ ভ্যানে করে প্রতিদিন সকালে ২১ নম্বর ওয়ার্ডের এই প্রান্ত থেকে ওই প্রান্ত ঘুরছি সবজি নিয়ে।
সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আসাদ বলেন, গরিব মানুষদের বিনামূল্যে আর যাদের সামর্থ্য আছে তাদের কাছে নামমাত্র মূল্যে এই সবজি সরবরাহ করা হচ্ছে। ২০ রকমের সবজির মধ্যে রয়েছে, আলু, শাক, চিচিঙ্গা, ঢেঁড়স, কাঁচা মরিচ, ধনেপাতা, কচুর লতি, শসা, লাউ ইত্যাদি।
আসাদ আরও বলেন, যতদিন লকডাউন চলবে আমার ওয়ার্ডে এই সেবা অব্যাহত থাকবে। আমার লক্ষ্যই হলো মানুষের বাজারে যাওয়ার প্রয়োজন যেন না পড়ে সেটা নিশ্চিত করা।
এইউএ/এমএফ/এমএস