চাল আত্মসাতে দুদকে পৃথক ৩ মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯:৫৫ পিএম, ১০ মে ২০২০

১১ হাজার ৮২০ কেজি চাল আত্মসাতের অভিযোগে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ চারজনের বিরুদ্ধে পৃথক তিনটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। রোববার (১০ মে) দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় টাঙ্গাইল ও ফরিদপুরে এসব মামলা দায়ের করা হয়। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা (পরিচালক) প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য সাংবাদিকদেরকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলার আসামিরা হলেন- টাঙ্গাইলের সখিপুর উপজেলার যাদবপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. মিনহাজ উদ্দীন, শরীয়তপুরের আরশিনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সামসুদ্দোহা ওরফে ডা. রতন ও একই ইউনিয়ন পরিষদের সচিব জাহাঙ্গীর আলম এবং মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার বাঁশকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের তিন নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ইসমাইল ফকির।

দুদক জানায়, দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় টাঙ্গাইলের উপ-সহকারী পরিচালক রাজু মো. সারোয়ার হোসেন বাদী হয়ে টাঙ্গাইলের সখিপুর উপজেলার যাদবপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. মিনহাজ উদ্দীনকে আসামি করে মামলা করেন।

আসামির বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার ও প্রতারণার মাধ্যমে বিভিন্ন সময়ে ১০ টাকা কেজি দরের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ৫১০ কেজি চাল আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে।

শরীয়তপুরের আরশিনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. সামসুদ্দোহা ওরফে ডা. রতন ও একই ইউনিয়ন পরিষদের সচিব জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে মৎস্যজীবীদের জন্য বরাদ্দ দেয়া খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির এক হাজার ৫০ কেজি চাল আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে। এ অভিযোগে ফরিদপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আবু সাঈদ বাদী হয়ে মামলা করেছেন।

অপরদিকে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ফরিদপুরের উপ-সহকারী পরিচালক সৌরভ দাশ বাদী হয়ে একই কার্যালয়ে আরেকটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার বাঁশকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের তিন নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ইসমাইল ফকিরকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার অভিযোগে জালিয়াতির মাধ্যমে ২০১৭ সাল থেকে ‘হতদরিদ্র খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির’ আওতায় প্রদত্ত কার্ড নিজ ওয়ার্ডে যথাযথভাবে বিতরণ না করে প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে ভুয়া উপকারভোগীর নাম, ঠিকানা ও স্বাক্ষর ব্যবহার করে সরকার অনুমোদিত ১০ হাজার ২৬০ কেজি সরকারি চাল আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে। তিন মামলাতেই তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯, ৪২০ ও ১০৯ ধারাসহ ১৯৪৭ সালের ২ নম্বর দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারায় মামলাগুলো দায়ের করা হয়।

করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে সামাজিক নিরাপত্তামূলক কর্মসূচিতে দুর্নীতির অভিযোগে এর আগে দেশের বিভিন্ন স্থানে নয়টি মামলা দায়ের করে দুদক।

এফএইচ/এমএফ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।