ঢাকার মানুষ বের হচ্ছে, যানজটও বাধছে
সরকারের পক্ষ থেকে সীমিত আকারে মার্কেট, শপিংমল খোলার অনুমতি দেয়ার পর ঢাকার রাস্তায় মানুষের বের হওয়ার সংখ্যা বেড়েছে। গণপরিবহন না চললেও দেদারছে চলছে ব্যক্তিগত গাড়ি। ফলে কোথাও কোথাও যানজটও বাধছে।
মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর বিভিন্ন অঞ্চল ঘুরে দেখা যায়, প্রাইভেটকার, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, রিকশা, মোটরসাইকেল কোনো কিছুরই কমতি নেই রাস্তায়। তবে কোনো গণপরিবহন চলাচল করতে দেখা যায়নি।
প্রতিটি অঞ্চলেই ব্যক্তিগত গাড়ি, মোটরসাইকেল, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, রিকশা চলাচল করলেও তেজগাঁও-বিজয় সরণি লিংক রোড অঞ্চলে তুলনামূলক ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা বেশি দেখা যায়।
ব্যক্তিগত গাড়ির কারণে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সাতরাস্তা থেকে মহাখালী যাওয়ার রাস্তায় বেশ যানজট দেখা দেয়। তেজগাঁও-বিজয় সরণি লিংক রোডে শতাধিক গাড়ি যানজটে আটকে থাকতে দেখা যায়।
এই যানজটে আটকে থাকা একটি প্রাইভেটকারের চালক মিলন বলেন, প্রায়ই আমি গাড়ি নিয়ে বের হই। এ রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করি। করোনাভাইরাসের ছুটির পর এমন যানজটে আর পড়িনি। আজকের যানজটের চিত্র দেখে ঢাকার আগের কথাই মনে পড়ে যাচ্ছে।
প্রাইভেটকারের চালক জুয়েল বলেন, করোনাভাইরাসের মধ্যেও রাস্তায় এমন যানজটে পড়তে হবে ভাবিনি। এখানকার (মহাখালী) যানজটের চিত্র দেখে অবাক হচ্ছি। মতিঝিল, গুলিস্তান, ধানমন্ডি অঞ্চল ঘুরে এসেছি। এমন যানজট ঢাকার আর কোথাও নেই।
মোটরসাইকেল নিয়ে ঘুরতে বের হওয়া সজীব বলেন, সাধারণ ছুটির কারণে রাস্তায় গাড়ি কম। এ কারণে দুই বন্ধু ঘুরতে বেরিয়েছি। গণপরিবহন না চলায় রাস্তা তুলনামূলক ফাঁকা। তবে আমার মনে হচ্ছে, ব্যক্তিগত গাড়ি আগের মতোই চলাচল করছে। প্রতিটি অঞ্চলের রাস্তায় অনেক গাড়ি। এর মধ্যে এখানেই (মহাখালী) গাড়ির সংখ্যা সব থেকে বেশি। গুলশান, বনানী, ফার্মগেট, শাহবাগ অঞ্চল ঘুরে এসেছি। এমন যানজট নেই।
এমএএস/জেডএ/পিআর