করোনা আক্রান্ত গুলশানের পুলিশ সদস্যদের শুভেচ্ছা উপহার
রাজধানীতে করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে ও জনগণকে নিরাপদে ঘরে রাখতে বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছে গুলশান বিভাগ পুলিশ। তা বাস্তবায়নে দিনরাত কাজ করছেন তারা। এসব করতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন গুলশানের ৩২জন পুলিশ সদস্য।
করোনায় আক্রান্ত এই সদস্যদের পাশে দাঁড়িয়েছে ডিএমপির গুলশান বিভাগ। আক্রান্ত ৩২ পুলিশ সদস্যের মনোবল বৃদ্ধির লক্ষ্যে শুভেচ্ছা উপহার পাঠিয়েছেন গুলশানের উপ-পুলিশ কমিশনার(ডিসি) সুদীপ কুমার চক্রবর্তী।
গুলশান বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, রোবাস্ট কনভয় প্যাট্রোলিং, শক্তিশালী চেকপোস্ট, মোবাইল প্যাট্রোলিং, উচ্চপ্রযুক্তিসম্পন্ন সিসিটিভি মনিটরিং, বিভিন্ন সোসাইটিকে সম্পৃক্তকরণের মাধ্যমে কার্যকর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত ও মানুষদের নিরাপদে ঘরে রাখার জন্য বিভিন্ন কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে গুলশান পুলিশ।
কর্মহীন, অসহায়, দুস্থ, নিম্নআয়ের মানুষ বিশেষ করে নিম্ন মধ্যবিত্ত কিংবা মধ্যবিত্ত, হাত পাততে পারেন না, এরকম প্রায় ১০ হাজার পরিবারকে পরিচয় গোপন রেখে দেড় মাস ধরে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দিচ্ছে গুলশান বিভাগ পুলিশ। এর বাইরেও প্রকাশ্যে গোলচিহ্ন দিয়ে বাধ্যতামূলক সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করেই বিভিন্ন এলাকায় খাদ্য সহায়তা দেয়া হচ্ছে। প্রতিদিন অসংখ্য দুস্থ মানুষের মাঝে রান্না করা খাবার বিতরণ করা হচ্ছে।
নিয়মিতভাবে জীবাণুনাশক স্প্রে করা, কাঁচাবাজার ও সুপারশপে প্রবেশ বহির্গমন একমুখী চলাচল, সুপারশপ, ওষুধ ও নিত্যপণ্যের দোকানে স্টিকার কিংবা রং দিয়ে সামাজিক দূরত্ব নির্দিষ্ট করা হয়েছে।
গুলশানের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) সুদীপ কুমার চক্রবর্তী বলেন, শুরু থেকেই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সহায়তায় বিভিন্ন বাসায় ওষুধ ও নিত্যপণ্য পৌঁছানো, আক্রান্তদের হাসপাতালে নেয়া, লকডাউন ও আক্রান্তদের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিতে সর্বোচ্চ স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়েও গুলশান বিভাগের সদস্যরা সর্বদা তৎপর। আন্তরিকতা, নিষ্ঠা, পেশাদারিত্বের সাথে পুলিশ সদস্যরা তৎপর এই করোনাভাইরাস দুর্যোগেও। আর এসব করতে গিয়ে গুলশান বিভাগের ৩২ জন পুলিশ সদস্য করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। অনেকেই কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। এই করোনাকে জয় করে আবারও যেন মাঠে নামতে পারেন আমাদের আক্রান্ত সদস্যরা সেজন্য নানা উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তার মধ্যে ক্ষুদ্র প্রয়াস হচ্ছে শুভেচ্ছা উপহার।
জেইউ/জেডএ/জেআইএম