করোনায় দেরি হলেও শিপিং মাশুল আদায় করা যাবে না
কোভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণে চলমান সাধারণ ছুটির সময়ে কনটেইনারের ক্ষতিপূরণ মাশুল আদায় করতে পারবে না বিদেশি শিপিং কোম্পানিগুলো। এছাড়া যারা এরই মধ্যে মাশুল আদায় করেছিল তা ফেরত দিতে হবে আমদানিকারকদের।
রোববার (১৭ মে) দুপুরে এই নির্দেশ দিয়েছেন নৌপরিবহন অধিদফতরের মহাপরিচালক কমডোর সৈয়দ আরিফুল ইসলাম। এর আগে এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন- চট্টগ্রাম বন্দর চেয়ারম্যান, বিদেশি শিপিং কোম্পানির প্রতিনিধি ও বন্দর ব্যবহারকারীরা।
বৈঠকের বিষয়ে নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এস এম আবুল কালাম আজাদ জানান, করোনার আপদকালীন সময়ে আমদানি পণ্যবাহী কনটেইনার বন্দরে রাখার মাশুল তিন দফায় ছাড় দেয় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। কিন্তু শিপিং কোম্পানিগুলো ক্ষতিপূরণ মাশুল আদায় করায় ব্যবসায়ীরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিলেন। আজকের বৈঠকে সাধারণ ছুটির সময়ে কনটেইনারের ক্ষতিপূরণ বিদেশি শিপিং কোম্পানিগুলো মাশুল আদায় করতে পারবে না বলে আদেশ জারি করেছে নৌপরিবহন অধিদফতর।
বন্দর সূত্রে জানা গেছে, বন্দরে পণ্য খালাস করে খালি কনটেইনার ফেরত দেয়ার জন্য আমদানিকারকদের নির্ধারিত সময় দেয় শিপিং কোম্পানিগুলো। কোন আমদানিকারক কত দিন সময় পাবেন, তা পণ্য ক্রয় চুক্তিতে সরবরাহকারী উল্লেখ করে দেন। জাহাজ থেকে নামানোর পর এই সময় সাধারণত ১৪ থেকে ২১ দিন হয়ে থাকে। এই সময়ে আমদানিকারকরা পণ্য খালাস করে কনটেইনার ফেরত না দিলে প্রতিদিনের জন্য ডেমারেজ বা ডিটেনশন মাশুল দিতে হয় জাহাজ কোম্পানিগুলোকে।
মহামারির সময়ে আমদানিকারকরা নানা কারণে পণ্য খালাসে দেরি হওয়ায় কনটেইনারের এই মাশুলবাবদ বিপুল পরিমাণ ডলার পরিশোধ করতে হয়েছে। করোনার কারণে ব্যবসায়ীরা যাতে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত না হন, সে জন্য নৌপরিবহন অধিদফতর প্রথমে পরামর্শমূলক চিঠি দিয়েছিল বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোকে। তা না মানায় এবার সরাসরি নির্দেশ দেয়া হলো।
এফআর/এমকেএইচ