নতুন ১০ জনসহ ২২২ আনসার সদস্য করোনায় আক্রান্ত
বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ ২২২ সদস্য করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১০ জন। আর করোনা যুদ্ধে এ পর্যন্ত জীবন উৎসর্গ করেছেন একজন আনসার সদস্য। সোমবার (১৮ মে) বিকেলে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদর দফতর থেকে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।
এ ব্যাপারে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর উপ-পরিচালক (যোগাযোগ) মেহেনাজ তাবাসসুম রেবিন জানান, আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর আরও নতুন ১০ সদস্য করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। সোমবার (১৮ মে) দুপুর পর্যন্ত ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা ও বিভিন্ন পর্যায়ের সর্বমোট ২২২ জন সদস্য ও কর্মচারী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
এর মধ্যে ঢাকায় অক্রান্ত হয়েছেন ১৯৩ জন এবং ঢাকার বাইরে আক্রান্ত হয়েছেন ২৯ জন। আক্রান্তদের মধ্যে রয়েছেন বাহিনীর উপ-মহাপরিচালক একজন, ৯১ জন ব্যাটালিয়ন আনসার, ১২৫ জন অঙ্গীভূত আনসার, একজন বিশেষ আনসার, একজন মহিলা আনসার, একজন নার্সিং সহকারী, একজন সিগন্যাল অপারেটর ও এসজন ভিডিপি সদস্য।
আক্রান্ত সদস্যদের মধ্যে ৭৭ জন ব্যাটালিয়ন আনসার জাতীয় সংসদ ভবনে এবং ৯০ জন অঙ্গীভূত আনসার সদস্য ঢাকা মহানগর পুলিশের সঙ্গে কর্মরত রয়েছেন। এ ছাড়া বাকিরা সদর দফতর এবং বিভিন্ন জেলায় কর্মরত রয়েছেন।
আক্রান্তদের মধ্যে নিজ বাসায় কোয়ারেন্টাইনে একজন। প্রাতিষ্ঠানিক ও বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ৪৫৭ জন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতাল, মুগদা জেনারেল হাসপাতাল, সাজেদা মেডিকেল ও রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে বাহিনীর ১৫৯ জন সদস্য করোনা উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
করোনাভাইরাসে এ পর্যন্ত বাহিনীর আব্দুল মজিদ নামে একজন সদস্য মৃত্যুবরণ করেছেন। মৃত্যুবরণকারী সদস্য আব্দুল মজিদ পিসি অঙ্গীভূত আনসার (আইডি নং-১৩১৮৯), তার বাড়ি বগুড়ায়। মৃত্যুর পূর্বে তিনি গুলশান বিভাগের ভাটারা থানায় কর্মরত ছিলেন। গত ১১ মে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যান। আর করোনা আক্রান্তদের মধ্যে থেকে সুস্থ হয়েছেন ১৯ জন।
জেইউ/এমএফ/পিআর