সুবিধাবঞ্চিত দুই শতাধিক শিশুর পরিবারে ফের খাদ্যপণ্য দিল হাসিমুখ
ঈদকে সামনে রেখে সুবিধাবঞ্চিত দুই শতাধিক শিশুর পরিবারে খাদ্যসামগ্রী উপহার দিয়েছে ‘হাসিমুখ’ সমাজ কল্যাণ সংস্থা। এ নিয়ে হাসিমুখের পক্ষ থেকে করোনা পরিস্থিতিতে চরম সংকটে থাকা ওই পরিবারগুলোকে পঞ্চম দফায় খাদ্য সহায়তা দেয়া হলো। করোনা সংক্রমণ বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত প্রতি ১৫ দিন পরপর এই খাদ্য সহায়তা অব্যাহত থাকবে।
হাসিমুখের পক্ষ থেকে মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। রাজধানীর ধানমন্ডির মেহেরুন্নেসা গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে রাজধানীর পরিবাগ, বাংলামোটর, হাতিরপুল ও কাঁঠালবাগানে বসবাসরত ওই পরিবারগুলোকে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী সরবরাহ করা হয়। এর মধ্যে ইস্পাহানি টি লিমিটেডের সৌজন্যে পরিবার প্রতি ৫ কেজি চাল, এক কেজি ডাল ও আধা লিটার ভোজ্য তেল এবং অনলাইন কমিউনিটি ‘ফুড ব্যাংক’-এর সৌজন্যে আলু, পেঁয়াজ, লবণ, চিনি ও লাচ্ছা সেমাই সরবরাহ করা হয়।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত এই সেবামূলক কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন ‘হাসিমুখ’র সহ-প্রতিষ্ঠাতা নুসরাত একা। তিনি জানান, বৈশ্বিক মহামারির এই দুর্যোগ মুহূর্তে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের ও তাদের পরিবারের জন্য দৈনন্দিন চাহিদাগুলো পূরণ করাটাই কষ্টকর হয়ে উঠছে। এমন বিপদাপন্ন সময়ে পথশিশুসহ সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের ঈদ উদযাপনকে কিছুটা সহজ করতে খাদ্য উপহার বিতরণ করা হয়েছে। শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে ‘হাসিমুখ’ গত ২৮ মার্চ থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত পাঁচবার তাদের খাদ্যপণ্য সরবরাহ করেছে। ১৫ দিন পরপর এই সহায়তা অব্যাহত রাখা হবে।
এই মানবিক কাজে সহযোগিতার জন্য অনলাইন কমিউনিটি ‘ফুড ব্যাংক’ ও ইস্পাহানি টি লিমিটেডের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, গত সাত বছরেরও বেশি সময় ধরে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে 'হাসিমুখ সমাজ কল্যাণ সংস্থা'। সংস্থাটি 'হাসিমুখ' নামে একটি বৈকালিক স্কুল পরিচালনা করে। সপ্তাহে (শুক্রবার বাদে) ছয় দিন বিকেল ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত স্কুলের কার্যক্রম চলে। সেখানে তিন শতাধিক শিশুর মাঝে শিক্ষার আলো ছড়াতে কাজ করেন ২০ জন স্বেচ্ছাসেবক। এ ছাড়া সংস্থাটিতে দেড় শ'রও বেশি অনিয়মিত স্বেচ্ছাসেবক ‘হাসিমুখ’র হয়ে সেবামূলক নানা কার্যক্রমে অংশ নেন। সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক বর্তমানে স্কুলটি বন্ধ থাকলেও সুবিধাবঞ্চিত পরিবারের ন্যূনতম খাবারের চাহিদা পূরণসহ করোনা সংক্রমণ নিয়ে সচেতনতামূলক অব্যাহত রেখেছে ‘হাসিমুখ’।
এইচএস/জেডএ/এমকেএইচ