গণস্বাস্থ্যের কিটের বিকল্প চিন্তা করছে না সরকার : ডা. জাফরুল্লাহ
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) পরীক্ষায় পাসের পর অবশ্যই গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র উদ্ভাবিত করোনাভাইরাস পরীক্ষার কিট সরকারের অনুমতি পাবে বলে বিশ্বাস কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর।
তিনি বলেছেন, ‘তারা (সরকার) র্যাপিড ডট ব্লট কিটের (গণস্বাস্থ্য উদ্ভাবিত কিট) কোনো বিকল্প বিবেচনা করছে না। আমি শতভাগ নিশ্চিত যে, কিট বিএসএমএমইউতে ট্রায়ালটি পাস করবে। কিন্তু আমলাতান্ত্রিক জটিলতার জন্য এখন আক্রান্তদের সংখ্যা ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশবাসীর জন্য কিটগুলোর প্রয়োজনীয় উৎপাদন বিলম্বিত হয়েছে।’
বুধবার (২০ মে) গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে অনুষ্ঠিত এক সেমিনারে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে এসব কথা বলেন।
ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, ‘যে প্রয়োজনীয়তা কোনো আইন জানে না, এই সংকটের মুহূর্তে যদি সরকারি সংস্থাগুলো এগিয়ে আসে তবে ড. বিজন কুমার সিলের আবিষ্কার থেকে আরও বেশি লোক উপকৃত হবেন। কিন্তু আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে এটি অনেক সময় নিচ্ছে।’
তিনি সন্দেহ পোষণ করে বলেন, ‘সরকারের বিলম্ব এবং স্বীকৃতির কারণে অন্য বিজ্ঞানী উদ্ভাবক হিসেবে বিজনের কৃতিত্ব নিয়ে নিতে পেতে পারেন।’
জাফরুল্লাহ চৌধুরী এ সময় কিটের পর্যাপ্ত উৎপাদনের জন্য লোন হিসেবে সরকারের কাছে ৫০ কোটি টাকা দাবি করেন।
বিজন কুমার শিল জানান, কিটটি অ্যান্টিবডি এবং অ্যান্টিজেন উভয় পরীক্ষার জন্য লালা এবং এমনকি সোয়াব নমুনা পরীক্ষা করার জন্য তৈরি করেছিলেন।
তবে কখন কিটটি অনুমতি পাবে এ বিষয়ে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কোনো কর্মকর্তাই নিশ্চিত করতে পারেননি। তারা বলেছিলেন, অনুমতি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তারা ব্যাপক উৎপাদনে যাবে, যাতে সরকার প্রতিদিন ৫০ হাজার সন্দেহভাজনকে পরীক্ষা করতে পারে।
গত ১৩ মে ট্রায়ালের জন্য প্রথমে ২০০টি কিট পরবর্তীতে আরও ২০০টি মোট ৪০০ কিট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়কে হস্তান্তর করে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র।
সেমিনারে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- বিএসএমএমইউর প্রাক্তন উপাচার্য প্রফেসর নজরুল ইসলাম এবং অধ্যাপক কামরুল হাসান খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য একে এ কে আজাদ চৌধুরী এবং অধ্যাপক মোজাহেরুল হক প্রমুখ।
পিডি/এফআর/পিআর