করোনায় আরেক পুলিশ সদস্যের মৃত্যু
করোনায় জীবন দিলেন পুলিশের ১০ম সদস্য। তার নাম মোখলেসুর রহমান। তিনি চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের কন্সটেবল।
করোনাভাইরাসের সঙ্গে প্রাণপণ লড়াই করে তিনি গত মঙ্গলবার মৃত্যুবরণ করেন। পুলিশ সদর দফতরের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি-মিডিয়া) সোহেল রানা বৃহস্পতিবার জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মোখলেছুর রহমান চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের অধীন সদর কোর্টে কর্মরত ছিলেন। তার বাড়ি চাঁদপুর জেলার শাহরাস্তি থানার টামটা গ্রামে। তিনি স্ত্রী, তিন কন্যা ও এক পুত্রসহ বহু আত্মীয়স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
তার মৃত্যুতে বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। তার মরদেহ জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) মহিউদ্দিন মাহমুদ সোহেল জাগো নিউজকে জানান, মো. মোখলেছুর রহমান গত মঙ্গলবার ভোরে মারা যান। এরপর নমুনা সংগ্রহ করা হয়। বুধবার রাতে তার করোনাভাইরাস পজিটিভ শনাক্ত হয়। তার বাড়ি চাঁদপুর জেলার শাহরাস্তি থানার টামটা গ্রামে। তিনি স্ত্রী, তিন কন্যা ও এক পুত্র রেখে গেছেন।
কন্সটেবল মোখলেছুর ছাড়া বাকি ৯ জন মৃত্যুবরণকারী সদস্য হলেন- ডিএমপির কনস্টেবল জসিম উদ্দিন, এএসআই মো. আব্দুল খালেক, ট্রাফিক বিভাগের কনস্টেবল মো. আশেক মাহমুদ , পিওএমের এসআই সুলতানুল আরেফিন, পুলিশের বিশেষ শাখার এসআই নাজির উদ্দীন, পিওএমের এএসআই শ্রী রঘুনাথ রায়, এসআই জালাল উদ্দিন, ট্রাফিক কন্সটেবল মো. নঈমুল হক, এসবির এসআই মুজিবুর রহমান।
পুলিশ সদরদফতর জানিয়েছে, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ ও ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বাহিনীর সদস্যদের সার্বক্ষণিক খোঁজ খবর রাখছেন এবং তাদের সুচিকিৎসা ও পুনর্বাসন প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছেন।
আক্রান্ত পুলিশ সদস্যদের সুচিকিৎসা ও সার্বিক কল্যাণ নিশ্চিত করতে ইতোমধ্যেই বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে কয়েকটি টিম গঠন করা হয়েছে। এসব টিমের কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিক করোনা আক্রান্ত পুলিশ সদস্যদের পাশে যাচ্ছেন, তাদের সঙ্গে কথা বলছেন, তাদের স্বাস্থ্যের খোঁজ নিচ্ছেন ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে সদা তৎপর থাকছেন।
এআর/আবু আজাদ/জেডএ/এমএফ/এমকেএইচ