স্বাস্থ্যবিধি মনিটরিংয়ে টার্মিনালভিত্তিক টিম গঠনের আহ্বান কাদেরের
করোনা সংক্রমণের মধ্যে চালু হওয়া গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধির শর্তগুলো মানতে টার্মিনালভিত্তিক মনিটরিং টিম গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শনিবার (৩০ মে) রাজধানীর সংসদ ভবন এলাকায় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন থেকে দেয়া এক ভিডিও বার্তায় তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘রোববার (৩১ মে) থেকে সরকারি-বেসরকারি অফিস খুলছে। সরকারি ছুটির সঙ্গে মিল রেখে বন্ধ থাকা গণপরিবহন খুলতে যাচ্ছে। পরিবহন মালিক ও শ্রমিক সংগঠন এবং সংশ্লিষ্ট স্টেক হেল্ডারদের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে প্রতিপালনে সকলেই সম্মতি দিয়েছে। আমরা সবাই মিলে ভালো থাকতে চাই। সামান্য উপেক্ষা ভয়াবহ বিপদ ডেকে আতে পারে।’
তিনি বলেন, যেসব শর্ত বিআরটিএ তথা মন্ত্রণালয় দিয়েছে সেসব শর্ত যথাযথভাবে প্রতিপালনে নিজেদের স্বার্থেই যাত্রী সাধারণ, মালিক ও শ্রমিক সংগঠনকে অনুরোধ জানাচ্ছি। শর্তগুলো প্রতিপালনের মাধ্যমে করোনা সংক্রমণ থেকে যানবাহন ও যাত্রীদের সুরক্ষা দিতে হবে। যে সব পরিবহন সরকারি নির্দেশনা প্রতিপালনে ব্যর্থ হবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ সময় মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের সব স্টেক হেল্ডারদের নিয়ে টার্মিনাল ভিত্তিক মনিটরিং টিম গঠন ও কাউন্সিলিংয়ের আহ্বান জানান মন্ত্রী।
তিনি বলেন, পাশপাশি সরকারি নজরদারিসহ বিআরটিএর মোবাইল টিম কার্যকর থাকবে। আমরা চাই না পরিবহন কিংবা টার্মিনাল করোনা সংক্রমণের কেন্দ্রে পরিণত হোক। আমি টার্মিনাল কর্তৃপক্ষকে পুরো এলাকাজুড়ে পরিচ্ছন্নতা অভিযান তথা জীবাণুমুক্ত রাখার আহ্বান জানাচ্ছি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বাসে ৫০ ভাগ যাত্রী পরিবহন করা যাবে। অর্থাৎ অর্ধেক সিট খালি রাখতে হবে। যাত্রী ওঠানামার সময় সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব মেনে চলতেই হবে। যাত্রী পরিবহন, শ্রমিক, চালক, চালকের সহকারী, কাউন্টার কর্মী সকলের মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যাবহারসহ টার্মিনাল এবং স্টেশনে সাবান ও পানির ব্যাবস্থা রাখতে হবে হাত ধোয়ার জন্য।ট্রিপ শুরুর আগে ও পরে জীবাণুনাশক স্প্রে করতে হবে। নির্দিষ্ট স্টেশন ছাড়া যেখানে সেখানে বাস থামানো যাবে না। যাত্রী ওঠা-নামা যত্রতত্র করা যাবে না।
তিনি বলেন, করোনা আক্রান্ত ২১৫টি দেশ ও অঞ্চলের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান এখন ২২তম। সামনে কঠিন সময় আসছে বলে অনেকে আশঙ্কা করছেন। এই কঠিন পরিস্থিতিতে বিশ্বের অনেক দেশ আমাদের চেয়ে খারাপ অবস্থা স্বত্ত্বেও লকডাউন শিথিল করেছে। কেউ কেউ তুলে নিয়েছে। জীবন রক্ষার পাশাপাশি এ সময়ে দেশের অর্থনীতিও বাঁচাতে হবে।
কাদের বলেন, কঠিন এ সময়ে প্রধানমন্ত্রী যে সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন তার ওপর আমাদের আস্থা রাখতে হবে। ঢালাও সমালোচনা না করে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিন। হতাশ হওয়ার কোনো কারণ নেই। সংকটের সাহসী কান্ডারী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা সকলের সঙ্গে আছেন। আল্লাহর অশেষ রহমত এবং সকলের সহযোগিতায় আমরা ঘুরে দাঁড়াবো ইনশাল্লাহ।
তিনি বলেন, আমাদের মাঝে রাজনৈতিক মত পার্থক্য আছে এবং থাকবেই, কিন্তু সবার এ কথা মনে রাখতে হবে যে, করোনা আমাদের সকলেরই অভিন্ন শত্রু।
এইউএ/এএইচ/এমকেএইচ