পুরোনো রূপে ফেরার প্রস্তুতি, রাজধানীতে বাড়ছে যানবাহন
করোনা সংক্রমণ রোধে দুই মাসেরও বেশি সময় গণপরিবহন বন্ধ থাকার পর সোমবার (১ জুন) থেকে সীমিত আকারে স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহন চালু হচ্ছে। এর ফলে করোনার বিরুদ্ধে নতুন এক যুদ্ধ শুরু হচ্ছে। এ যুদ্ধে প্রধান অস্ত্র ব্যক্তিগত সচেতনতা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা। সোমবার থেকে সরকারি, বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত অফিস আদালতও খুলছে। এছাড়া রাজধানীর বিভিন্ন শপিংমল ও বিপণিবিতান খোলা হচ্ছে।
গণপরিবহন চালু হচ্ছে এমন খবর ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে রাজধানীতে মোটরসাইকেল, প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাস, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, পিকআপ ভ্যান, ট্রাক, লরি, ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা ও প্যাডেল চালিত রিকশার চলাচল বহুলাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে।
শনিবার (৩০ মে) রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক ঘুরে দেখা গেছে প্রায় প্রতিটি সড়কেই অসংখ্য যানবাহন চলাচল করছে। কয়েকদিন আগেও অনেক রাস্তাঘাটে মানুষ এবং যানবাহনের দেখা পাওয়া যায়নি। কিন্তু গত দুইদিন ধরে রাজধানীর বেশির ভাগ এলাকায় যানবাহন চলাচল অনেকগুণ বেড়েছে। কোথাও কোথাও হালকা যানজটেরও সৃষ্টি হয়েছে।
এতদিন যানবাহন নিয়ন্ত্রণে ট্রাফিক পুলিশকে তেমন একটা দেখা না গেলেও সোমবার থেকে গণপরিবহন চলাচলকে সামনে রেখে ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের রাস্তার মোড়ে মোড়ে ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী পরিহিত অবস্থায় ডিউটিতে ফিরতে দেখা গেছে।
সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ সরকারের বিভিন্ন দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা বলছেন, জীবন ও জীবিকার তাগিদে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও স্বাভাবিক জীবন-যাপনে অভ্যস্ত হতে হবে। গণপরিবহন চলাচলের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে যাত্রীদের মাস্ক ও গ্লাভস ব্যবহার করতে হবে। শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিতে একটি বাসের মোট আসন সংখ্যার অর্ধেক যাত্রী পরিবহন করতে হবে।
এদিকে, করোনা সংক্রমণে মৃত্যু যখন বাড়ছে তখন জীবন ও জীবিকা সমান্তরালভাবে পরিচালনা জন্য সবকিছু খুলে দেয়ার সরকারি সিদ্ধান্তকে ভালো ভাবে দেখছে না স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
তারা বলছেন, সীমিত পরিসরে বলা হলেও জীবিকার প্রয়োজনে মানুষ ঘরের বাইরে বের হলে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। আগের মতো আরও দুই সপ্তাহ লোকজনকে ঘরে ধরে রাখা হলে ভালো হতো বলে মন্তব্য করেন তারা।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আরও ২৮ জন প্রাণ হারিয়েছেন। ফলে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬১০ জনে। একই সময়ে নতুন করে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ১৭৬৪ জন। এতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৪ হাজার ৬০৮ জনে।
এমইউ/এএইচ/জেআইএম