আগামীকাল থেকে যেসব ট্রেন চলাচল শুরু হচ্ছে

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৬:১৭ পিএম, ৩০ মে ২০২০

মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে দুই মাসেরও বেশি সময় বন্ধ থাকার পর আগামীকাল রোববার (৩১ মে) থেকে সীমিত পরিসরে গণপরিবহন (বাস, ট্রেন, নৌযান) চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

এরই অংশ হিসেবে রোববার থেকে আট জোড়া ট্রেন ঢাকা থেকে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে ছেড়ে যাবে। একই সঙ্গে বিভিন্ন স্টেশন থেকে ঢাকায় আসবে। আর ৩ জুন থেকে আরও ১১ জোড়া ট্রেন চলাচল করবে।

আগামীকাল (৩১ মে) থেকে প্রাথমিকভাবে ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে সোনার বাংলা এক্সপ্রেস, সুবর্ণ এক্সপ্রেস; ঢাকা-সিলেট কালনী, সিলেট-চট্টগ্রাম পাহাড়িকা বা উদয়ন এক্সপ্রেস চলাচল করবে। এছাড়া ঢাকা-রাজশাহী লাইনে বনলতা এক্সপ্রেস, ঢাকা-খুলনা লাইনে চিত্রা এক্সপ্রেস, ঢাকা-পঞ্চগড় লাইনে পঞ্চগড় এক্সপ্রেস, ঢাকা-লালমনিরহাট লাইনে লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেন পরিচালনা করা হবে।

দ্বিতীয় ধাপে আগামী ৩ জুন থেকে আরও ১১ জোড়া ট্রেন চলাচল শুরু করবে। এগুলো হচ্ছে- ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ বাজার রুটে তিস্তা এক্সপ্রেস, ঢাকা-বেনাপোল রুটে বেনাপোল এক্সপ্রেস, ঢাকা-চিলাহাটি রুটে নীলসাগর এক্সপ্রেস, খুলনা-চিলাহাটি রুটে রূপসা এক্সপ্রেস, খুলনা-রাজশাহী রুটে কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস, রাজশাহী-গোয়ালন্দ ঘাট রুটে মধুমতি এক্সপ্রেস, চট্টগ্রাম-চাঁদপুর রুটে মেঘনা এক্সপ্রেস, ঢাকা-কিশোরগঞ্জ রুটে কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস, ঢাকা-নোয়াখালী রুটে উপকূল এক্সপ্রেস, ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ-ঢাকা রুটে ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস এবং কুড়িগ্রাম-ঢাকা-কুড়িগ্রাম রুটে কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস।

রেল মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে অনলাইনে টিকিট বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সকল ট্রেনের টিকিট অনলাইনে সংগ্রহ করতে হবে, কাউন্টারে টিকিট বিক্রি হবে না। যাত্রা শুরুর পাঁচদিন পূর্বে টিকিট সংগ্রহ করা যাবে। টিকিট ছাড়া কেউ স্টেশনে প্রবেশ করতে পারবেন না।

এছাড়া স্বল্প দূরত্বের যেমন- ঢাকা বিমানবন্দর, জয়দেবপুর, নরসিংদীতে কোনো ট্রেন থামবে না। যাত্রীদের শরীরের তাপমাত্রা পরিমাপের সুবিধার্থে ট্রেন ছাড়ার কমপক্ষে ৬০ মিনিট পূর্বে স্টেশনে পৌঁছাসহ যাত্রীসাধারণকে বেশ কিছু বিধি মেনে ট্রেনে চলাচল করতে হবে।

এদিকে শনিবার (৩০ মে) রেলভবনে করোনা পরবর্তী ট্রেন চলাচলের বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, ট্রেন ছাড়ার এক ঘণ্টা আগে যাত্রীকে স্টেশনে পৌঁছাতে হবে। আমরা ট্রেনে খাবারের ব্যবস্থা রাখছি না। বিশেষ কেবিনে আমরা এখন থেকে আর বালিশ-কাঁথা সরবরাহ করব না।

তিনি আরও বলেন, যাত্রীসাধারণকে আবশ্যিকভাবে মাস্ক পরিহিত অবস্থায় স্টেশন এলাকায় বা ট্রেনে প্রবেশ করতে হবে। ট্রেনের অভ্যন্তরে যাত্রীদের নির্দিষ্ট আসনে অবস্থান করতে হবে। ট্রেনে আরোহণ এবং অবতরণের জন্য নির্দিষ্ট দরজা ব্যবহার করতে হবে। বর্তমান স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার লক্ষ্যে ট্রেনে খাবার সরবরাহ বন্ধ থাকবে। যাত্রার তারিখসহ পাঁচদিন পূর্ব হতে টিকিট ক্রয় করা যাবে।

তিনি বরেন, অন্যান্য গণপরিবহন অর্ধেক যাত্রী নেবে তাই ভাড়া বাড়ছে। তবে আমরা রেলের ভাড়া বাড়াচ্ছি না। রেলে একটু বেশি ভিড় হবে। তাই সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে আমরা পুরো টিকিট অনলাইনে বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

মন্ত্রী জানান, আগের নির্ধারিত শিডিউল অনুযায়ী এসব ট্রেন চলাচল করবে। যাত্রী পরিবহনে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতে আমরা কাজ করব। ভিড় কমাতে আমরা সব স্টেশনের টিকিট কাউন্টার বন্ধ রাখছি। অর্থাৎ সব টিকিট বিক্রি হবে অনলাইনে।

প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় গত ২৫ মার্চ থেকে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে মালবাহী ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক ছিল।

এএস/বিএ/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।