করোনাভাইরাসের পূর্ণাঙ্গ জিন বিন্যাস করলো বিসিএসআইআর

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৭:২৩ পিএম, ৩০ মে ২০২০

বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের (বিসিএসআইআর) গবেষণাগারে তিনজন করোনা (কোভিড-১৯) রোগীর নমুনা নিয়ে এ ভাইরাসের পূর্ণাঙ্গ জিন বিন্যাস (জিনোম সিকোয়েন্সিং) সম্পন্ন করা হয়েছে।

শনিবার (৩০ মে) বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিএসআইআর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অধীন। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমানের নির্দেশনায় এটি সম্পন্ন হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, প্রাপ্ত তথ্যাদি গ্লোবাল ডাটা ব্যাংক গ্লোবার ইনিশিয়েটভি অন শেয়ারিং অল ইনফ্লুয়েঞ্জা ডাটায় (জিআইএসএআইডি) উপস্থাপন করা হয়েছে, যা ওই সংস্থা কর্তৃক গৃহীত ও প্রকাশিত হয়েছে। তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, অ্যামিনো অ্যাসিড লেভেলে মোট ৯টি ভ্যারিয়ান্ট (পার্থক্য) পাওয়া যায়। সিকোয়েন্সিং করার জন্য নমুনা সংগ্রহ করেছে বাংলাদেশ সরকারের আরেকটি প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ল্যাবরেটরি মেডিসিন অ্যান্ড রেফারেল সেন্টার। প্রাপ্ত নমুনা হতে এ ফলাফল পাওয়া যায়।

গবেষক দলের প্রধান ও প্রকল্প পরিচালক ইনস্টিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. সেলিম খান বলেন, অ্যানালাইসিসে বাংলাদেশের এই ভাইরাসটির সঙ্গে সবচেয়ে বেশি মিল (৯৯ দশমিক ৯৯ শতাংশ) পাওয়া যায় ইউরোপিয়ান উৎস, বিশেষ করে সুইডেনের সঙ্গে। করোনাভাইরাস সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য জানার জন্য বিসিএসআইআর-এর ৩টিসহ বাংলাদেশে এ পর্যন্ত প্রাপ্ত সর্বমোট ২৩টি পূর্ণাঙ্গ সিকোয়েন্সিং ডাটা থেকে কোনো সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া মোটেই যথেষ্ট নয়। উৎস, ক্লাস্টার, ট্রান্সমিশন ডায়নামিক্স, মলিকুলার ডেটিং, ভ্যাক্সিন ডিজাইনসহ অন্যান্য গবেষণা কাজ বেগবান করার জন্য এই মুহূর্তে প্রয়োজন বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় শনাক্ত হওয়া করোনাভাইরাস আইসোলেটের আরও বেশি সিকোয়েন্সিং ডাটা।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী এবং সিনিয়র সচিব বাংলাদেশের সম্ভাব্য সব এলাকা থেকে নমুনা সংগ্রহ করে বিসিএসআইআর-এর জিনোমিক রিসার্চ গবেষণাগারে সিকোয়েন্সিং করার নির্দেশনা দিয়েছিলেন। সেই নির্দেশনা অনুযায়ী বিসিএসআইআর-এর জিনোমিক রিসার্চ গবেষণাগারসহ ডিআরআইসিএম (ডেজিগনেটেড রেফারেন্স ইনস্টিটিউট ফর কেমিক্যাল মেজারমেন্টস) কাজটি করে যাচ্ছে। কাজটি সম্পন্ন করা হলে একটি পূর্ণাঙ্গ ভিত্তির ওপর গবেষণাটি প্রতিষ্ঠিত হবে, ফলে করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) প্রতিষেধক, ওষুধ ও ভ্যাকসিন আবিষ্কারে সহায়তা করবে।

আরএমএম/এমএসএইচ/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।