‘পরিবহন ভাড়া বাড়ানো যাত্রীদের সঙ্গে প্রহসন’
করোনাভাইরাসের কারণে মানুষ যখন চরম অর্থনৈতিক সংকটে ভুগছে তখন গণপরিবহণে ৮০ শতাংশ ভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্ত সাধারণ যাত্রীদের সঙ্গে প্রহসন উল্লেখ করে অবিলম্বে এ সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করার আহ্বান জানিয়েছে যাত্রী অধিকার আন্দোলন নামের একটি সংগঠন।
রোববার (৩১ মে) সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক অন্তু মুজাহিদ স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এই দাবি জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, করোনা পূর্ববর্তী সময়ে প্রতিটি পরিবহনে সরকার নির্ধারিত ভাড়ার বেশি আদায় করা হত। বাসগুলো সিটিং নাম দিয়ে ভাড়া বাড়ালেও ঠিকই কয়েকগুণ বেশি যাত্রী বহন করে আসছিল। সরকারের পক্ষ থেকে যত্রযত্র যাত্রী ওঠানামা বন্ধ, ঝুঁকিপূর্ণভাবে অতিরিক্ত যাত্রী বহনে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তা বরাবরই উপেক্ষিত ছিল গণপরিবহন সংশ্লিষ্টদের কাছে। যাদের দিয়ে আগে অতিরিক্ত যাত্রী বহন বন্ধ করা যায়নি তাদের দিয়ে শারীরিক দূরত্ব কতটুকু নিশ্চিত করা যাবে তা অবশ্যই সন্দেহের।
নিয়ম অনুযায়ী মিনিবাসে ৩০ এবং বড় বাসে ৫১টি আসন থাকার কথা। সে হিসেবে ২০ শতাংশ সিট ফাঁকা ধরেই ভাড়া নির্ধারণ করেছিল সরকার। কিন্তু ঢাকার প্রতিটি বাস-মিনিবাসে ১০ থেকে ১৫টি অতিরিক্ত আসন সংযোজন করেছেন মালিকরা। সে হিসেবে বিদ্যমান বাস-মিনিবাসের ৫০ শতাংশ ফাঁকা রাখলেও লোকসান হওয়ার কথা নয়। তারপরও যাত্রীদের কথা না ভেবে একতরফা পরামর্শে কেন ভাড়া বাড়ানো হচ্ছে তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন যাত্রী অধিকার আন্দোলনের নেতারা।
পূর্বে নানা অযুহাতে ভাড়া বাড়ালেও কমানোর নজির নেই বলে দাবি করে করোনা পরিস্থিতির মাঝে যাত্রীদের সঙ্গে মহা অন্যায় করা হচ্ছে বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।
অনতিবিলম্বে গণপরিবহনের বর্ধিত ভাড়া প্রত্যাহার করা, প্রয়োজনে রাষ্ট্রীয় ভূর্তুকি যুক্ত করা, তেলের দাম কম রাখা, পরিবহনের পরিচ্ছন্নতা ও স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলা নিশ্চিতের পরামর্শ দেয়া হয় বিবৃতিতে।
এএস/এমএফ/পিআর