তাপমাত্রা মেপে স্যানিটাইজারে জীবাণুমুক্ত হয়ে নিউমার্কেটে প্রবেশ
রোববার, সকাল ৮টা। রাজধানীর অন্যতম প্রাচীন নিউমার্কেটের এক নম্বর গেটের সামনে তাপমাত্রা মাপার মেশিন ও জীবাণুনাশক স্যানিটাইজার হাতে দাঁড়িয়ে রয়েছেন দুই নিরাপত্তা কর্মী। এত সকালে ক্রেতা না এলেও দুই মাস পর বন্ধ থাকা মার্কেট খুলে দেয়ায় বিভিন্ন দোকানের মালিক কর্মচারীরা দোকান খুলে প্রস্তুতি নিতে সাতসকালেই আসতে শুরু করেছেন। এদের সকলের মুখে মাস্ক ও কারও কারও হাতে গ্লাভস দেখা যায়।
মার্কেটে প্রবেশের প্রধান ফটক না খুললেও পাশে ছোট্ট একটি ফটক দিয়ে কর্মচারীরা একে একে প্রবেশ করছিলেন। নিরাপত্তাকর্মীরা ভেতর থেকে নির্দিষ্ট শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে মার্কেটে প্রবেশের অনুরোধ জানাচ্ছিলেন।
নিরাপত্তাকর্মীরা ইনফারেড থার্মোমিটার দিয়ে প্রত্যেকের শরীরের তাপমাত্রা পরিমাপ করে দেখছিলেন। শরীরের তাপমাত্রা পরিমাপের পর নিরাপত্তাকর্মীরা লিকুইড সেনিটাইজার হাতে স্প্রে করছিলেন।
এ প্রতিবেদককে সঙ্গে আলাপকালে কর্তব্যরত নিরাপত্তাকর্মীরা বলেন, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে মার্কেট কর্তৃপক্ষ দোকান মালিক ও আগত ক্রেতাদের সুরক্ষা নিশ্চিতে মার্কেটের প্রবেশের পাঁচটি গেটে তাপমাত্রা মাপার মেশিন, জীবাণুমুক্তকরণ সেনিটাইজার ও ব্লিচিং পাউডার দিয়ে ভিজিয়ে ছালার ব্যবস্থা রেখেছে। মার্কেটের যে কেউ প্রবেশের আগে তাপমাত্রা মাপার পাশাপাশি জীবাণুমুক্ত করতে হ্যান্ড স্যানিটাইজার দেয়া হচ্ছে। এছাড়া পায়ের জুতার মাধ্যমে যেন ভাইরাসটি ছড়াতে না পারে সেজন্য ব্লিচিং পাউডার দিয়ে ছালা ভিজিয়ে রাখা হয়েছে।
দুই মাসেরও বেশি সময় পর ভিন্ন এক পরিবেশে আজ মার্কেট খুলছে। মার্কেটের একাধিক দোকান মালিক ও কর্মচারীরা এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে জানান, দুই মাস পর মার্কেট খুললেও তারা নিজেরাও করোনা ভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার আতঙ্কে রয়েছেন।
তারা জানান, মার্কেটে কোনো দোকান মালিক-কর্মচারীদের মাস্ক পরিধান ছাড়া প্রবেশ না করতে নিরাপত্তাকর্মীদের বলা হয়েছে। এ সতর্কতা শুধুমাত্র তাদের নিজেদের জন্য নয় ক্রেতাদের জন্যও বলে জানান তারা।
এমইউ/এএইচ/জেআইএম