করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যু বাড়ছে তবুও স্বাভাবিক হচ্ছে জীবনযাত্রা!
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ও মৃত্যু প্রতিদিনই বাড়ছে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোববারের বুুলেটিনে রাজধানীসহ সারাদেশে আড়াই সহস্রাধিক আক্রান্ত ও একদিনে রেকর্ড সংখ্যক ৪০ জনের মৃত্যুর কথা জানানো হয়েছে। তবে সংক্রমণ ও মৃত্যু বাড়লেও ক্রমেই স্বাভাবিক হচ্ছে জনজীবন।
সরকারের নির্দেশে সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান দুই মাসেরও বেশি সময় সাধারণ ছুটি শেষে খুলেছে। ৩১ মে থেকে শপিং মল ও বিভিন্ন মার্কেট খুলে দেয়া হয়েছে। আজ ১ জুন থেকে সারাদেশে গণপরিবহন চালু হয়েছে। জীবন ও জীবিকার তাগিদে মানুষ ঘরের বাইরে বেরিয়ে আসছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সরকারের নীতিনির্ধারক কর্তাব্যক্তিরা বলেছেন, প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে হবে।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ও মৃত্যু যখন বৃদ্ধি পাচ্ছে তখন সাধারণ ছুটি বৃদ্ধি না করা এবং লকডাউন তুলে দেয়ায় ঝুঁকি আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। এক্ষেত্রে বাইরে চলাচলের ক্ষেত্রে মানুষকে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা, মুখে মাস্ক ও হাতে গ্লাভস পরার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। তাছাড়া স্যানিটাইজার ব্যবহার ও বাসায় ফিরে ভালো করে সাবান বা স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ধুয়ে ফেলতে হবে। প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য বিধি মেনে না চললে ভয়াবহ পরিস্থিতি হতে পারে বলে তারা আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
আজ ১ জুন সরেজমিন রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে বিভিন্ন রাস্তাঘাটে গণপরিবহনসহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহন সংখ্যা বেড়েছে। সেইসাথে রাস্তাঘাটে মানুষের উপস্থিতিও বাড়ছে। বিভিন্ন মার্কেটের প্রবেশ পথে জীবাণুমুক্তকরণ মেশিন বসানোর পাশাপাশি জ্বর মাপা ও হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এ ব্যবস্থাপনায় ক্রেতারা খুশি।
বিভিন্ন মার্কেটে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ব্যবস্থা থাকলেও ক্রেতার উপস্থিতি এখনও তেমন একটা বেশি নয়।মানুষ জীবন ও জীবিকার তাগিদে ঘরের বাইরে বেরিয়ে এলেও করোনাভাইরাস সংক্রমণের ভয় এখনও কাটেনি।
রাজধানীর হাতিরপুলের বাসিন্দা মধ্যবয়সী হাসানুজ্জামান বলেন, প্রায় দুই মাস ঘরবন্দি থাকার পর পর বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করতে ব্যাংকে গিয়েছিলাম। অন্যান্য সময় বাজে চিন্তা মাথায় না হলেও আজ পাশে এসে কেউ দাঁড়ালে ভয় ভয় লেগেছে, এই বুঝি কারো মাধ্যমে সংক্রমিত হতে পারি।
নীলক্ষেতের বইয়ের মার্কেটে প্রয়োজনীয় একটি বই কিনতে গিয়েছিলেন ঢাকা মেডিকেলের শিক্ষার্থী সুলতানা জাহান।
এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, অনেকদিন পর মার্কেটে ঢুকে কেমন ভয় ভয় লেগেছে, স্বাভাবিক সময় অনেকক্ষণ বই নেড়েচেড়ে দেখলেও আজ প্রয়োজনীয় বইটি কিনে তাড়াতাড়ি বাইরে বেরিয়ে এসেছেন বলে জানান ।
এমইউ/এনএফ/জেআইএম