আজ থেকে চলবে আরও ৯ জোড়া ট্রেন
স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত আকারে ট্রেন চালুর চতুর্থ দিনের মাথায় আজ বুধবার থেকে নামানো হচ্ছে আরও ৯ জোড়া যাত্রীবাহী ট্রেন। আর বৃহস্পতিবার (৪ জুন) থেকে চলবে আরও দুই জোড়া ট্রেন।
গত ২৫ মে থেকে বন্ধ থাকার পর গত ৩১ মে থেকে যাত্রী পরিবহন শুরু করেছে ৮ জোড়া ট্রেন।
বুধবার (৩ জুন) কমলাপুর রেলস্টেশনে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নতুন যুক্ত হওয়া ১১ জোড়া ট্রেনের মধ্যে ৭ জোড়া ট্রেন ঢাকা থেকে বিভিন্ন জেলায় যাত্রী পরিবহন করবে। বাকি ৪ জোড়া ট্রেন ঢাকার বাইরে চলাচল করবে।
এদিকে, কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে সকাল সাড়ে ৭টার দিকে দেওয়ানগঞ্জের উদ্দেশে ছেড়েছে তিস্তা এক্সপ্রেস এবং সকাল পৌণে ১১টার দিকে কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস ছেড়েছে বলে জানা যায়।
নতুন যে ১১ জোড়া ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে সেগুলো হলো- ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ বাজার রুটে তিস্তা এক্সপ্রেস, ঢাকা-বেনাপোল রুটে বেনাপোল এক্সপ্রেস, ঢাকা-চিলহাটি রুটের নীলসাগর এক্সপ্রেস, ঢাকা-কিশোরগঞ্জ রুটের কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস, ঢাকা-নোয়াখালী রুটের উপকূল এক্সপ্রেস, ঢাকা-কুড়িগ্রাম রুটের কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস ও ঢাকা-চাঁদপুর রুটের ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস, খুলনা-চিলহাটি রুটের রূপসা এক্সপ্রেস, খুলনা-রাজশাহী রুটের কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস, রাজশাহী-গোয়ালন্দ ঘাট রুটের মধুমতি এক্সপ্রেস, চট্টগ্রাম-চাঁদপুর রুটের মেঘনা এক্সপ্রেস।
করোনাভাইরাস মহামারির কারণে দুই মাসেরও বেশি সময় বন্ধ থাকার পর গত রোববার (৩১ মে) থেকে সীমিত পরিসরে গণপরিবহন (বাস, ট্রেন, নৌযান) চালুর সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।
এরই ধারাবাহিকতায় ৩১ মে থেকে প্রাথমিকভাবে ৮ জোড়া ট্রেন চলাচল করেছে। এগুলো হচ্ছে- ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে সোনার বাংলা এক্সপ্রেস, সুবর্ণ এক্সপ্রেস, ঢাকা-সিলেট রুটে কালনী, সিলেট-চট্টগ্রাম রুটে পাহাড়িকা বা উদয়ন এক্সপ্রেস। এছাড়া ঢাকা-রাজশাহী রুটে বনলতা এক্সপ্রেস, ঢাকা-খুলনা রুটে চিত্রা এক্সপ্রেস, ঢাকা-পঞ্চগড় রুটে পঞ্চগড় এক্সপ্রেস, ঢাকা-লালমনিরহাট রুটে লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেন।
রেলমন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে পুরো টিকেট অনলাইনে বিক্রি হচ্ছে । যাত্রা শুরুর পাঁচদিন পূর্বে টিকেট সংগ্রহ করা যাবে। টিকেট ছাড়া কেউ স্টেশনে প্রবেশ করতে পারবেন না। স্বল্প দূরত্বের ঢাকা বিমানবন্দর, জয়দেবপুর, নরসিংদীতে কোনো ট্রেন থামবে না। যাত্রীদের শরীরের তাপমাত্রা পরিমাপের সুবিধার্থে যাত্রীদের ট্রেন ছাড়ার কমপক্ষে ৬০ মিনিট পূর্বে স্টেশনে পৌঁছাসহ যাত্রী সাধারণকে বেশকিছু বিধি মেনে ট্রেনে চলাচল করতে হবে।
ট্রেনের ৫০ শতাংশ টিকিট বিক্রি করা হবে। সকল ট্রেনের টিকিট অনলাইনে সংগ্রহ করতে হবে, কাউন্টারে কোনো টিকিট বিক্রি হবে না।
এদিকে শনিবার (৩০ মে) রেলভবনে করোনা পরবর্তী ট্রেন চলাচলের বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে রেলপথ মন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন জানিয়েছিলেন, ট্রেন ছাড়ার এক ঘণ্টা আগে যাত্রীকে স্টেশনে পৌঁছাতে হবে। যাত্রী সাধারণকে আবশ্যিকভাবে মাস্ক পরিহিত অবস্থায় স্টেশন এলাকায় বা ট্রেনে প্রবেশ করতে হবে। ট্রেনের অভ্যন্তরে যাত্রীদের নির্দিষ্ট আসনে অবস্থান করতে হবে। ট্রেনে আরোহণ এবং অবতরণের জন্য নির্দিষ্ট দরজা ব্যবহার করতে হবে। বর্তমান স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার লক্ষ্যে ট্রেনে খাবার সরবরাহ বন্ধ থাকবে। যাত্রার তারিখসহ পাঁচদিন আগে থেকে টিকেট ক্রয় করা যাবে। রেলের কোনো ভাড়া বাড়ানো হয়নি।
প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় গত ২৫ মার্চ থেকে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। তবে মালবাহী ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক ছিল। পরে সাধারণ ছুটি শেষে ৩১ মে থেকে ৮টি ট্রেন চলাচল শুরু হয়। এরই ধারাবাহিকতায় আজ থেকে শুরু হয় আরও ৯টি ট্রেন চলাচল এবং বৃহস্পতিবার থেকে এই বহরে যুক্ত হবে আরও দুইটি ট্রেন।
এএস/এমএফ/জেআইএম