সুপ্রিম কোর্ট বারের মৃত লাইব্রেরিয়ান করোনা আক্রান্ত ছিলেন না
করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির (বার) লাইব্রেরির সহকারী লাইব্রেরিয়ান মো. আসাদুজ্জামান কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত ছিলেন না। মৃত্যুর পর তার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার ফলাফল নেগেটিভ এসেছে। এ ছাড়া তার স্ত্রীর রিপোর্টও নেগেটিভ।
বিশেষ ব্যবস্থায় গত সোমবার (১জুন) রাতে রাজশাহীর বাগমারার ঝাড়গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। দাফনের আগে তার ও স্ত্রীর নমুনা সংগ্রহ করে স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগ। বুধবার (৩ জুন) দুপুরে তাদের প্রতিবেদন হাতে পৌঁছায়। এতে দেখা যায়, স্বামী-স্ত্রী দুজনই করোনা নেগেটিভ।
আসাদুজ্জামান রাজশাহীর বাগমারার উপজেলার ঝিকড়া ইউনিয়নের ঝাড়গ্রামের বাসিন্দা মজিবুর রহমানের ছেলে।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, আসাদুজ্জামান ঈদের আগে থেকে জ্বরে আক্রান্ত ছিলেন। বাড়িতে থেকেই ওষুধ সেবন করে সুস্থ হন তিনি। তবে তিন-চার দিন আগ থেকে তার শরীরে আবারও জ্বর দেখা দেয়। বাড়িতে থেকেই চিকিৎসকের পরামর্শে চিকিৎসা গ্রহণ করেন। ক্রমেই জ্বরের মাত্রা বেড়ে যায়। এ ছাড়া শ্বাসকষ্ট অনুভব করেন তিনি।
গত সোমবার দুপুরের দিকে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে দ্রুত রাজধানীর একটি হাসপাতালে নেয়া হয়। চিকিৎসা শুরুর আগেই তিনি হাসপাতালে মারা যান। পরে একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে লাশ গ্রামের বাড়িতে পাঠানো হয়। জানাজা শেষে কোয়ান্টামের সদস্যরা পারিবারিক কবরস্থানে তাকে লাশ দাফন করেন।
আসাদুজ্জামানের স্বজনেরা জানান, তার করোনার উপসর্গ থাকলেও গ্যাস্ট্রিকে আক্রান্ত হয়েছিলেন।
বাগমারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, আসাদুজ্জামান ও তার স্ত্রীর নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। সেগুলো পরীক্ষার জন্য রাজশাহীর ল্যাবে পাঠানো হয়েছিল। পরে বুধবার (৩জুন) দুপুরে তাদের পরীক্ষার ফলাফল আসে। আসাদুল ইসলাম ও তার স্ত্রীর নেগেটিভ ফলাফল আসে।
বাগমারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শরিফ আহম্মেদ বলেন, করোনার উপসর্গ নিয়ে ঢাকায় মারা গেছেন, এমন তথ্য পাওয়ার পর কোয়ান্টামের সদস্যদের দিয়ে লাশ দাফনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এফএইচ/জেডএ/জেআইএম