মতিঝিল আইডিয়ালে শিক্ষার্থীদের বেতন কত জানতে চান হাইকোর্ট
বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে এমপিওভুক্ত স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের মাসিক বেতন (টিউশন ফি) আদায়ের কার্যক্রম স্থগিতের বিষয়ে করা রিট আবেদনের ওপর শুনানি শেষ করা হয়েছে।
উভয়পক্ষের শুনানি নিয়ে এ বিষয়ে আদেশের জন্য আগামী ১৪ জুন দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট। তবে এর মধ্যে মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রথম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বেতন বা সেমিস্টার ফি কত, তা জানাতে প্রতিষ্ঠানটির কর্তৃপক্ষকে বলেছেন আদালত।
বুধবার (১০ জুন) হাইকোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিমের ভার্চুয়াল বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে আজ রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মো. সাইফুর রহমান। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার।
আদেশের বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন অ্যাডভোকেট মো. সাইফুর রহমান।
এর আগে গত ৪ জুন এমপিওভুক্ত স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের মাসিক বেতন আদায়ের কার্যক্রম স্থগিতের বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশনা চেয়ে ওই রিট আবেদন করা হয়।
জনস্বার্থে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের দুই শিক্ষার্থীর অভিভাবকের পক্ষে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সহ-সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. সাইফুর রহমান এই রিট আবেদন করেন।
রিটে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি), দেশের সব শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান (মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক) ও আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রিন্সিপালসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়।
রিটে বলা হয়, করোনাভাইরাসের কারণে ব্যবসা-বাণিজ্যে স্থবিরতা নেমে এসেছে। কর্মহীন হয়ে পড়েছে অনেক পেশাজীবী ও চাকরিজীবী। সরকারের সিদ্ধান্তে ইতোমধ্যে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ফি আদায় বন্ধ রাখা হয়েছে। বিদ্যুৎবিলসহ বিভিন্ন বিলে সুদ মওকুফ করা হয়েছে।
ব্যাংক ঋণের বিষয়ে বলা হয়েছে, একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত বেনিফিট গ্রহণ করা যাবে না। সেখানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সন্তানদের মাসিক বেতন পরিশোধে নোটিশ দেয়া হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে নিম্নবিত্ত, নিম্ন-মধ্যবিত্ত এবং মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষদের জীবিকা নির্বাহ করাটা অত্যন্ত কষ্টকর হয়ে পড়েছে।
জনস্বার্থে এরও আগে গত ১৯ মে আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ওই দুই শিক্ষার্থীর অভিভাবকের পক্ষে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সহ-সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. সাইফুর রহমান এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে নোটিশ পাঠান। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে এ বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয় বলে জানান আইনজীবী।
এফএইচ/জেডএ/পিআর