৬ বিভাগের চেয়েও দ্বিগুণ মৃত্যু রাজধানীতে
রাজধানীসহ সারা দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে। গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। আজ ১০ জুন পর্যন্ত রাজধানী ঢাকাসহ দেশের আট বিভাগে সর্বমোট ৭৪ হাজার ৮৬৫ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়া এক হাজার ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৩০৭ জনের মৃত্যু হয়েছে রাজধানী ঢাকাতেই। বিভাগীয় হিসেবে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে। তবে করোনায় ঢাকা-চট্টগ্রাম বিভাগ ব্যতীত রাজধানীতেই অন্য ৬ বিভাগের চেয়ে দ্বিগুণের বেশি করোনা আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু হয়েছে। অন্য ৬ বিভাগে মৃত্যুবরণ করেছেন ১৪৬ জন।
স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের তালিকার শীর্ষে রয়েছে রাজধানী ঢাকা তথ্য ঢাকা বিভাগ এবং চট্টগ্রাম বিভাগ। মৃতের এ দীর্ঘ তালিকায় তালিকায় চিকিৎসক নার্স, ব্যবসায়ী ,শিল্পপতি, ব্যাংক কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ রয়েছেন।
বিভাগীয় পরিসংখ্যান অনুসারে, রাজধানী ঢাকায় সর্বোচ্চ সংখ্যক ৩০৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। রাজধানী ব্যতীত ঢাকা বিভাগে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৯২ জন ও চট্টগ্রাম বিভাগের ২৬৭ জনের মৃত্যু হয়। অন্যান্য ৬টি বিভাগে (ময়মনসিংহ ২১, রাজশাহী ২১, রংপুর ২৬, খুলনা ১৬, বরিশাল ২৪ ও সিলেটে ৩৮ জন) সর্বমোট ১৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। যা কি না রাজধানী ঢাকাতে মৃতের সংখ্যার চেয়ে দ্বিগুণেরও কম।
মোটকথা, ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের বাইরে রাজধানী ঢাকাতেই করোনা আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু সংখ্যা দেশের অন্যান্য ৬টি বিভাগের মৃতের চাইতে দ্বিগুণেরও বেশি।
উল্লেখ্য, গত ৮ মার্চ দেশের প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। শুরুর দিকে শুধুমাত্র আইইডিসিআরের ল্যাবরেটরিতে নমুনা পরীক্ষা করা হলেও পরবর্তীতে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে ল্যাবরেটরির সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়। বর্তমানে ৫৬টি ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা চলছে।
এ সকল ল্যাবরেটরিতে শুরু থেকে ১০জুন পর্যন্ত মোট চার লাখ ৪১ হাজার ৫০৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নমুনা পরীক্ষা সর্বমোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭৪ হাজার ৮৬৫ জনে। আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে মোট মৃত্যু হয় এক হাজার ১২ জনের। ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৫৬৩ জন। ফলে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেন মোট ১৫ হাজার ৮৯৯ জন।
এমইউ/এফআর