করোনায় জিডিপির অর্থ ব্যয়ে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় বাংলাদেশ দ্বিতীয়
করোনা মোকাবিলায় জিডিপির অর্থ ব্যয়ের হিসাবে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ১০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয়। এ তালিকায় প্রথম অবস্থানে রয়েছে ইন্দোনেশিয়া। করোনা মোকাবিলায় ইন্দোনেশিয়া জিডিপির সর্বোচ্চ ৪.৪ শতাংশ প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। আর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩.৫ শতাংশ প্রণোদনা ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ।
অন্য দেশগুলোর মধ্যে শ্রীলঙ্কা ০.২০ শতাংশ, ভারত ১.১ শতাংশ, আফগানিস্তান ২.০ শতাংশ, চীন ২.৫ শতাংশ, মালদ্বীপ ২.৮ শতাংশ, মালয়েশিয়া ২.৯ শতাংশ, পাকিস্তান ৩.১ শতাংশ এবং ভিয়েতনাম ৩.৪ শতাংশ প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের সামষ্টিক অর্থনীতি অনুবিভাগের সরকারি ব্যয় ও অগ্রাধিকার পর্যালোচনা প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনা মোকাবিলা ও অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে বাংলাদেশ ১৯টি প্যাকেজে সর্বমোট এক লাখ তিন হাজার ১১৭ কোটি টাকার প্রণোদনা ঘোষণা করেছে।
ঘোষিত প্যাকেজের মধ্যে রফতানিমুখী শিল্পপ্রতিষ্ঠানের জন্য বিশেষ তহবিল পাঁচ হাজার কোটি, ক্ষতিগ্রস্ত শিল্প ও সার্ভিস সেক্টরে প্রতিষ্ঠানসমূহের জন্য ৩০ হাজার কোটি, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পপ্রতিষ্ঠানের জন্য ২০ হাজার কোটি, বাংলাদেশ ব্যাংক প্রবর্তিত এক্সপোর্ট ডেভেলপমেন্ট ফান্ডের জন্য ১২ হাজার ৭৫০ কোটি, রিসেন্ট ক্রেডিট রেফিন্যান্স স্কিম পাঁচ হাজার কোটি, চিকিৎসক নার্স এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের বিশেষ সম্মানী ১০০ কোটি, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত-মৃত্যুর ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ ৭৫০ কোটি, বিনামূল্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ দুই হাজার ৫০৩ কোটি, ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রি ২৫১ কোটি, লক্ষ্যভিত্তিক জনগোষ্ঠীর মাঝে নগদ অর্থ বিতরণ এক হাজার ২৫৮ কোটি, ভাতা কর্মসূচির আওতা বৃদ্ধি ৮১৫ কোটি, গৃহহীন মানুষদের জন্য গৃহনির্মাণ ১৩০ কোটি, বোরো ধান-চাল ক্রয় কার্যক্রম ৮৬০ কোটি, কৃষিকাজ যান্ত্রিকীকরণ ২০০ কোটি, কৃষিভর্তুকি ৯ হাজার ৫০০ কোটি, কৃষি পুনঃঅর্থায়ন স্কিম পাঁচ হাজার কোটি, নিম্নআয়ের পেশাজীবী কৃষক বা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য পুনঃঅর্থায়ন স্কিম তিন হাজার কোটি, কর্মসৃজন কার্যক্রম দুই হাজার কোটি এবং বাণিজ্যিক ব্যাংকের এপ্রিল-মে মাসের স্থগিত ঋণের আংশিক সুদ মওকুফ বাবদ সরকারের ভর্তুকিতে দুই হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়।
এমইউ/বিএ/এমকেএইচ