নির্বাহী আদেশে ২০ হাজার মেডিকেল টেকনোলজিস্ট নিয়োগের দাবি

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৪:৪৮ পিএম, ২১ জুন ২০২০

সরকারের নির্বাহী আদেশে এডহক ভিত্তিতে অবিলম্বে ২০ হাজার বেকার মেডিকেল টেকনোলজিস্ট নিয়োগের দাবি জানিয়েছে বেকার অ্যান্ড প্রাইভেট সার্ভিসেস মেডিকেল টেকনোলজিস্ট অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএসএমটিএ)।

কারিগরি শিক্ষাবোর্ড সংশ্লিষ্টদের মামলার কারণে স্বাস্থ্য অধিদফতরের ২০১৩ সালের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ হওয়ায় যেসব টেকনোলজিস্টদের সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ইতিমধ্যে পেরিয়ে গেছে তাদেরও এ নিয়োগের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।

পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে স্বাস্থ্য অধিদফতরের সামনে নেয়া অবস্থান ধর্মঘট থেকে এ দাবি জানানো হয়।

রোববার (২১ জুন) সকালে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অধীনে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে পাস করা কয়েকশ মেডিকেল টেকনোলজিস্ট মহাখালীর স্বাস্থ্য ভবনে সমবেত হয়ে অবস্থান ধর্মঘট পালন করেন।

অবস্থান ধর্মঘটে বক্তারা বলেন, স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে বিতর্কিত ১৮৩ জন মেডিকেল টেকনোলজিস্টের স্থায়ী নিয়োগের সুপারিশ অবিলম্বে বাতিল করতে হবে এবং এ অনিয়ম/দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। একইসঙ্গে স্বেচ্ছাসেবক/অস্থায়ী ভিত্তিতে/মাস্টাররোলের মাধ্যমে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট পদে নিয়োগ দেয়া যাবে না। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সৃজিত এক হাজার ২০০ মেডিকেল টেকনোলজিস্ট পদে নিয়োগের জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ এবং বিধি মোতাবেক নিয়োগ দিতে হবে।

বক্তারা বলেন, ২০০৭ সালের আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটির সুপারিশ দীর্ঘদিনেও বাস্তবায়ন না করায়, সুপ্রিমকোর্টের আদেশ মোতাবেক ওয়ান আমব্রেলা কনসেপ্ট প্রায় দীর্ঘ চার বছরেও বাস্তবায়িত না হওয়া এবং প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক গঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটির সিদ্ধান্ত স্বাস্থ্য বিভাগ বাস্তবায়নে গড়িমসি করায় ১২ বছর ধরে মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের নিয়োগ নেই। এক যুগ নিয়োগ না থাকার ফলে কয়েক হাজার মেডিকেল টেকনোলজিস্টের চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা পেরিয়ে গেছে। বিশেষ করে ২০১৩ সালের নিয়োগে আবেদন করা মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের সিংহভাগের চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা নেই। স্বাস্থ্য বিভাগের গাফিলতির কারণে বয়স উত্তীর্ণ মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের বয়স প্রমার্জনা করে ২০ হাজার বেকার মেডিকেল টেকনোলজিস্টকে নির্বাহী আদেশে অবিলম্বে নিয়োগের ব্যবস্থা করতে হবে। এডহক ভিত্তিতে অধিকহারে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট নিয়োগ দিলে করোনা রোগীর নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা-নিরীক্ষায় সৃষ্ট জটিলতা যেমন দূর হবে, অপরদিকে সাধারণ রোগীদের পরীক্ষা-নিরীক্ষার বিষয়টিও সহজতর হবে।

তারা আরও বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, একজন চিকিৎসকের বিপরীতে পাঁচজন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট থাকার কথা থাকলেও দেশে সরকারি পর্যায়ে ৩০ হাজার চিকিৎসকের বিপরীতে আছে মাত্র ৫ হাজার মেডিকেল টেকনোলজিস্ট, যা থাকার কথা এক লাখ ৫০ হাজার।

এ সময় তারা সুপ্রিম কোর্টের আদেশ এবং প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে গঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটির সুপারিশ মোতাবেক ওয়ান আমব্রেলা কনসেপ্ট বাস্তবায়ন এবং মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত কারিগরি শিক্ষাবোর্ড থেকে পাস করাদের স্বাস্থ্য বিভাগে নিয়োগ না দেয়ার দাবি জানান। একই দাবিতে আগামীকাল (সোমবার) সকাল ৮টা ৩০ মি‌নি‌টে আবারও স্বাস্থ্য অধিদফতরে অবস্থান ধর্মঘট চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন সংগঠনটির নেতারা।

অবস্থান ধর্মঘটে সভাপতিত্ব করেন বিপিএসএমটিএর সভাপতি মো. শফিকুল ইসলাম। বক্তব্য রাখেন- মহাসচিব সিরাজুল ইসলাম, আব্দুল জলিল, শেখ সাদি, রিপন কুমার, শাকিল উদ্দিন, আওয়াফ সিদ্দিক, মোখলেছুর রহমান প্রমুখ।

এমইউ/এফআর/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।