আক্রান্ত এভাবে বৃদ্ধি পেতে থাকলে আরও ২০০০ চিকিৎসক নিয়োগ
বাংলাদেশে দ্রুতই বাড়ছে করোনা সংক্রমণের হার। সঙ্গে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও। এ প্রেক্ষিতে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, করোনায় আক্রান্তের হার এভাবে বৃদ্ধি পেতে থাকলে আরও দুই হাজার নতুন চিকিৎসক নিয়োগ দেয়া হবে।
তিনি বলেন, পাশাপাশি মেডিকেল টেকনোলজিস্ট নিয়োগের কাজও বর্তমানে চলমান রয়েছে। করোনা পরিস্থিতি আগামীতে যে রকম হবে সরকার সেভাবেই বুঝেশুনে পদক্ষেপ নেবে।
সোমবার (২২ জুন) সকালে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে চীনের প্রতিনিধিদলকে বিদায় জানাতে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এদিকে চীন করোনা ভ্যাকসিন আবিষ্কার করলে সবার আগে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তা বাংলাদেশকে পাঠাবে বলে ব্রিফিংয়ে উল্লেখ করেন তিনি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, চীন করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। তাদের কাজে অগ্রগতিও অনেক। এই ভ্যাকসিন আবিষ্কার হলে সবার আগে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বাংলাদেশকে পাঠাবে বলে চীন সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। চীনের করোনা আক্রান্তকালে বাংলাদেশ যেভাবে পাশে ছিল চীন সরকার সেই উদারতার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশের জন্য সবার আগে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেবে।
প্রতিনিধিদলের বাংলাদেশ সফর নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, কোভিড-১৯ প্রতিরোধে বাংলাদেশের কাজে চীনা দল সন্তুষ্ট হয়েছে, তবে করোনা মোকাবিলায় আরও কিছু জায়গায় উন্নতি করার সুযোগ রয়েছে বলেও প্রতিনিধিদল সরকারকে জানিয়েছেন। আমরাও সামনের দিনগুলোতে চিহ্নিত জায়গাগুলো নিয়ে আরও কাজ করব।
কিট প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, চাহিদা অনুযায়ী কিট পাওয়া যাচ্ছে না। কারণ বর্তমান বিশ্বের সব দেশেই কিটের চাহিদা রয়েছে। তবে যা মজুত আছে তাতে ঘাটতি হওয়ার কথা না। কোনো কারণে সংকট তৈরি হলেও তা খুব দ্রুতই মেটানোর ব্যবস্থা সরকারের হাতে রয়েছে। কাজেই কিট নিয়ে এই মুহূর্তে উদ্বেগের কোনো কারণ নেই।
করোনায় যে হারে প্রতিদিন রোগী বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে মানুষ অধিক সচেতন না হলে সব হাসপাতাল করোনা রোগীতে পরিপূর্ণ হয়ে যাবে।এ কারণে করোনা মোকাবিলায় দেশের মানুষকে আরও বেশি স্বাস্থ্যসচেতন হতে হবে। পাশাপাশি করোনা মোকাবিলায় স্বাস্থ্যখাতে বাজেট আরও বাড়ানো প্রয়োজন বলেও স্বাস্থ্যমন্ত্রী তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন।
অনুষ্ঠানে চীনের রাষ্ট্রদূত ঝ্যাং জুয়ো ভ্যাকসিন আবিষ্কার হলে তা সবার আগে বাংলাদেশ পাবে বলে নিশ্চিত করে বক্তব্য রাখেন।ব্রিফিংকালে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক প্রফেসর আবুল কালাম আজাদ বক্তব্য রাখেন। এ সময় স্বাস্থ্যখাতের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে দেশে মহামারি করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩৮ জন মারা গেছেন। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মোট মারা গেলেন এক হাজার ৫০২ জন।
একই সময়ে করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে আরও তিন হাজার ৪৮০ জনের দেহে। ফলে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল এক লাখ ১৫ হাজার ৭৮৬ জনে।
সোমবার (২২ জুন) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনাভাইরাস বিষয়ক নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে এ তথ্য জানান অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
এমইউ/বিএ/এমএস