যে কারণে করোনায় পুরুষের মৃত্যু বেশি, নারীর কম

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩:৩৩ পিএম, ২৩ জুন ২০২০

করোনায় দেশে আজ মঙ্গলবার (২৩ জুন) ৪৩ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। এর মধ্যে পুরুষ ৩৮ জন এবং নারী পাঁচজন। তাছাড়া দেশে এখন পর্যন্ত করোনায় নারীর তুলনায় পুরুষের মৃত্যুহার বেশি। সারাবিশ্বেই করোনায় বেশি মৃত্যুবরণ করেছে পুরুষ। করোনায় মৃত্যুর হার পুরুষের কেন বেশি এবং নারীদের কেন কম, তার ব্যাখ্যা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।

মঙ্গলবার (২৩ জুন) দুপুরে নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে সায়েন্স ডিরেক্ট ডটকমের গ্লোবাল হেলথ রিপোর্টের তথ্য তুলে ধরে এসব জানান স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।

তিনি বলেন, ‘সারাবিশ্বের পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, পুরুষদের মৃত্যুঝুঁকি বেশি, গুরুতরও হচ্ছে বেশি। সায়েন্স ডিরেক্ট ডটকমের প্রতিবেদন সেখান থেকে জানতে পেরেছে, পুরুষদের আক্রান্ত হওয়া, গুরুতর হওয়া এবং মৃত্যুঝুঁকি বেশি হওয়ার কারণ হলো তারা আগে থেকেই অসংক্রমিত ব্যাধিতে আক্রান্ত হন বেশি। হাইপার টেনশন, ডায়াবেটিস, ক্রনিক্যানাল ডিজিজ, অকোপেশনাল এক্সপেজার ইত্যাদি ব্যাধি বেশি থাকা। পুরুষদের জীবনযাপন পদ্ধতি বা আচরণগত ঝুঁকিও থাকে যেমন ধূমপান, মদ্যপান করেন তারা। পুরুষরা শারীরিক দূরত্বও কম মেনে থাকেন। এসব কারণে পুরুষরা আক্রান্ত হচ্ছেন বেশি এবং তাদের মৃত্যুঝুঁকিও বেশি। নারীরা একটি সুবিধা পেয়ে থাকেন, সেটা হচ্ছে জিনগতভাবে নারীরা বেশি ইমিউন থাকে তাদের ডাবল এক্স ক্রোমোজমের জন্য।’

দেশের করোনার চিত্র তুলে ধরে তিনি আরও বলেন, ‘গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ১৭ হাজার ৫৬৩টি এবং পরীক্ষা হয়েছে ১৬ হাজার ২৯২টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৬ লাখ ৪৪ হাজার ১১টি। ২৪ ঘণ্টায় যা নমুনা পরীক্ষা হয়েছে, তাতে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৩ হাজার ৪১২ জন। শনাক্তের হার ২০ দশমিক ৯৪ শতাংশ। এ পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছে ১ লাখ ১৯ হাজার ১৯৮ জন। ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৮৮০ জন এবং এ পর্যন্ত সুস্থ ৪৭ হাজার ৬৩৫ জন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৩৯ দশমিক ৯৬ শতাংশ। ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুবরণ করেছেন ৪৩ জন এবং এ পর্যন্ত ১ হাজার ৫৪৫ জন। শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৩০ শতাংশ।’

পিডি/এমএফ/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।