বেসরকারি হাসপাতালকে সুবিধা দিতেই করোনা পরীক্ষায় ফি নেবে সরকার

সায়েম সাবু
সায়েম সাবু সায়েম সাবু , জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১০:১৬ পিএম, ২৮ জুন ২০২০

সরকারিভাবে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) শনাক্তকরণে বিনামূল্যের যে ব্যবস্থা আছে, তা বহাল রাখার দাবি জানিয়েছেন ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী।

তিনি বলেছেন, সরকারি হাসপাতালে ফি নিয়ে পরীক্ষা করলে এই মহামারিতে বেসরকারি হাসপাতালগুলো অধিক বাণিজ্য করার সুযোগ পাবে। এতে সাধারণের জন্য বিপর্যয় নেমে আসবে। সরকার মূলত বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে সুবিধা দিতেই ফি নির্ধারণ করতে যাচ্ছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক সরকারিভাবে করোনাভাইরাস পরীক্ষায় ফি নির্ধারণের ঘোষণা দিয়েছেন। তবে কী পরিমাণ ফি নির্ধারণ হতে পারে, তা জানাননি। বিষয়টি চূড়ান্ত বলেও জানান তিনি। এর আগে বেসরকারিভাবে করোনা পরীক্ষার ফি নির্ধারণ করে দেয় সরকার। এ প্রসঙ্গে মতামত জানতে চাওয়া হয় শিক্ষাবিদ, সমাজ বিশ্লেষক ও গবেষক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর কাছে।

তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর যে দুটি খাতে অধিক নজর দেয়ার কথা ছিল, তা হয়নি। বরং ক্রমশই অবহেলা দেখিয়ে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতকে বেসরকারিকরণ করা হয়েছে। সরকারি হাসপাতালে মানুষ যেতে চায় না। বিপদে পড়ে গেলেও সেবা পায় না। দুর্নীতি, লুটের মাধ্যমে স্বাস্থ্যখাতের সর্বনাশ ঘটানাে হয়েছে সরকারগুলোর পরম্পরায়। কেউ দায় নিয়ে ভাবেনি। এই সুযোগে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো সেবার নামে একচেটিয়া ব্যবসা করছে। যে কারণে মহামারির দিনেও মানুষকে অসহায় করে ফি নেয়া হচ্ছে।

সরকারিভাবে বিনামূল্যে পরীক্ষার দাবি জানিয়ে সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, জনগণের টাকায় বাজেট হয়। অথচ এই বিপদের মুহূর্তে জনভাবনায় সরকার উদার হতে পারছে না। করোনাকালে মানুষ অসহায় হচ্ছে দিনে দিনে। সরকারি হাসপাতালে সেবা মিলছে না। একাধিক হাসপাতালে ঘুরেও ভর্তি হতে পারছে না। প্রতিদিন এমন খবর মিলছে। অথচ সরকারি হাসপাতালেও বাণিজ্য হয়, বেসরকারির মতো সেবা মেলে। সাধারণরা তাতে নাগাল পায় না।

তিনি বলেন, যে খরচের কথা বলে সরকারি পরীক্ষায় ফি নেয়ার কথা ভাবছে সরকার, সে খরচ অন্য খাত থেকে সামলানো সম্ভব। ফি নিয়ে পরীক্ষা করালে বিপদ বাড়বে। অনেকে পরীক্ষা করানোর টাকা পাবে না। এতে সংক্রমণ আরও বাড়বে।

এএসএস/এমএসএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।