কোরবানির ঈদে কি বাড়ি ফেরা যাবে?

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১২:৫৬ পিএম, ০২ জুলাই ২০২০
ফাইল ছবি

ঈদের সময় রাজধানীসহ বিভিন্ন শহরবাসী মানুষের গ্রামে ফেরা আমাদের ঐতিহ্যে রূপ নিলেও তাতে বাধ সেধেছে করোনা মহামারি। ঈদুল ফিতরের সময় বন্ধ ছিল গণপরিবহন, চলাচলেও ছিল নিষেধাজ্ঞা। স্বাভাবিকভাবে বাড়ি ফেরার সুযোগ ছিল না কারো। যদিও গত ঈদে ব্যক্তিগত গাড়িতে বাড়ি ফেরার সুযোগ দিয়েছিল সরকার।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ৩১ জুলাই বা ১ আগস্ট দেশে মুসলমানদের দ্বিতীয় বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ উদযাপিত হবে। করোনা পরিস্থিতির উন্নতি না হলেও গত কয়েক মাসের কড়াকড়ি অবস্থা থেকে বেরিয়ে অনেকটাই স্বাভাবিক হয়েছে জীবনযাত্রা। তাই নগরে থাকা মানুষের জানতে চাওয়া-তবে কি আগামী ঈদে বাড়ি ফেরা যাবে?

মার্চ মাসের শুরুতে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী প্রথম ধরা পড়ে। পরিস্থিতি ক্রমাবনতির দিকে যেতে থাকলে ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করে সরকার। এরপর দফায় দফায় ছুটি বাড়তে থাকে। সর্বশেষ ঘোষণা অনুযায়ী গত ৩০ মে পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ছিল। পরে ৩১ মে থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে অফিস খুলে দেয়া হয়, চালু করা হয় গণপরিবহন। পরে এই ব্যবস্থা ৩০ জুন পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়। এখন তা বহাল থাকবে ১ জুলাই থেকে আগামী ৩ আগস্ট পর্যন্ত

ঈদের সময় বাড়ি ফেরা যাবে কি-না, সে বিষয়টি এখনো স্পষ্ট নয়। তবে এখন পর্যন্ত সরকারের অবস্থান এমনই যে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে মানুষ যেকোনো স্থানে চলাচল করতে পারবে। তবে ঈদের সময় বাড়ি যেতে কোনো বিধি-নিষেধ থাকবে কি-না তা ঈদের আগেই সরকার জানিয়ে দেবে বলে জানিয়েছেন ঊর্ধ্বতনরা।

তবে কেউ কেউ বলছেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে এখন গণপরিবহন চলাচল করলেও ঈদের সময় তা অব্যাহত থাকলে করোনা সংক্রমণের ক্ষেত্রে বড় ধরনের ঝুঁকি তৈরি হতে পারে। ঈদের সময় চলাচলের সুযোগ করে দিলে একসঙ্গে অনেক মানুষ হওয়ার কারণে স্বাস্থ্যবিধি মানা সম্ভব হবে না। সরকারও এত মানুষকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না।

ঈদে বাড়ি ফেরা যাবে কি-না, জানতে চাইলে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, ‘আপাতত আমরা বলছি, বর্তমানে অফিস ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড যেভাবে চলছে সেভাবেই আগামী ৩ আগস্ট পর্যন্ত চলবে। কোরবানির সময় লোকজনের বাড়ি ফেরার বিষয়টি আপাতত প্রজ্ঞাপনে নেই। কোরবানির সময় লোকজন বাড়ি ফিরতে পারবে কি-না, পারলেও কোন প্রক্রিয়ায় পারবে সেই বিষয়ে ঈদের আগে জানানো হবে।’

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল মান্নান জাগো নিউজকে বলেন, ‘মানুষ নিজেরা যদি সচেতন থাকে তবে ঝুঁকিটা কম। মানুষকে তো আটকানো যায় না, পৃথিবীর কোনে দেশই তা পারেনি। তবে প্রত্যেকে সচেতন থাকলে নিরাপদ থাকা যাবে।’

তিনি বলেন, ‘প্রত্যেকে যদি সচেতন থাকে তবে মুভ করলেও খুব বেশি ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না। ঈদে বাড়ি ফেরার বিষয়ে হয়তো কিছু নির্দেশনা থাকবে, সেটা ঈদের আগে জানিয়ে দেয়া হবে।’

সচিব আরও বলেন, ‘আমরা প্রত্যেককে স্বাস্থ্যবিধি মানার জন্য বলছি। মানুষ নিজেকে বাঁচানোর জন্য যদি সচেতন না হয় তবে আর কবে সচেতন হবে? সচেতনতাই এখন আমাদের একমাত্র বাঁচার উপায়।’

আরএমএম/এসআর/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।