২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু ৪৪ নাকি ৬২?
করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের সোমবারের (৬ জুলাই) বুলেটিনে উপস্থাপিত তথ্য ঘিরে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃতের মোট সংখ্যা ৪৪ বলা হলেও বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে যে সংখ্যা বলা হয়েছে, তার যোগফল ৬২। সেজন্য স্বভাবতই অন্ধকারে পড়েছেন বুলেটিন অনুসরণকারীরা।
দুপুরে উপস্থাপিত বুলেটিনে অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা মৃত্যুর মোট সংখ্যা ৪৪ বলার পর লিঙ্গ ও বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণ তুলে ধরে বলেন, যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে ৩৩ জন পুরুষ ও ১১ জন নারী। এদের মধ্যে ২১ থেকে ৩০ বছরের একজন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের দুজন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের ছয়জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের ৩১ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের ১৫ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের ছয়জন, ৮১ থেকে ৯০ বছরের একজন। বয়সের হিসাবে দেয়া সংখ্যাগুলোর যোগফল দাঁড়ায় ৬২। সেজন্য এ তথ্য নিয়ে বিভ্রান্তিতে পড়েছেন সংবাদকর্মীসহ বুলেটিনের দর্শক-শ্রোতারা।
গতকাল রোববারের (৫ জুলাই) বুলেটিনেও মৃত্যুর পরিসংখ্যানে গরমিল পাওয়া যায়। এদিন বলা হয়, বিগত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানীসহ সারাদেশে ৫৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাতে সব মিলিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ৫২ জনে।
মৃতের মোট সংখ্যার বিভাগভিত্তিক তথ্য তুলে ধরে বলা হয়, ঢাকা বিভাগে এক হাজার ৬০ জন, চট্টগ্রামে ৬৩৪, রাজশাহীতে ১০২, খুলনায় ৮৮, বরিশালে ৭২, সিলেটে ৮৬, রংপুরে ৬১ এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ৪৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ হিসাবে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়ায় দুই হাজার ১৫২। অর্থাৎ মোট সংখ্যা দুই হাজার ৫২ বলা হলেও বিভাগভিত্তিক পরিসংখ্যানে সেটা দেখা যায় ১০০ এর বেশি।
এ ব্যাপারে জানতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, করোনাভাইরাসসহ যেকোনো ধরনের তথ্য প্রচারের ক্ষেত্রে যথার্থতা অত্যাবশ্যকীয় হলেও স্বাস্থ্য অধিদফতর এক্ষেত্রে বারবার প্রশ্নের মুখে পড়েছে। এ ধরনের ভুল ও অসংলগ্ন তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে থাকে বলেও মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এমইউ/এইচএ/জেআইএম